Site icon The News Nest

নিরাপদ নয় ব্যাঙ্কের লকারও, বর্ধমানে উধাও প্রায় ৭০ ভরি গয়না, নীরব কর্তৃপক্ষ

gold 2

ব্যাঙ্কের লকারের চাবি গ্রাহকের কাছে থাকে। নিজে গিয়ে লকার খোলা না পর্যন্ত তা খোলার অধিকার কারর নেই। কিন্তু সম্প্রতি বর্ধমান (Burdwan) শহরের বাদামতলা এলাকায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ঘটে যাওয়া ঘটনা সেই বিষয়ের উপর প্রশ্ন চিহ্ন তুলে দিয়ে গেল। গ্রাহকের অজান্তে খোলা হল ব্যাঙ্কের লকার। ৬০ থেকে ৭০ ভরি সোনার গয়না খোয়ালেন গ্রাহক। আর রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাঙ্কে এমন ঘটনা ঘটায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে বর্ধমান শহরে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

অভিযোগকারী গ্রাহক পবিত্র সামন্তর দাবি, ‘‌ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার বাদামতলা শাখায় প্রায় ৪০ বছর আগে ভাড়া নেওয়া ওই লকারে পরিবারের প্রায় ৬০–৭০ ভরি গয়না গচ্ছিত ছিল। লকারটি শেষবার ব্যবহার করা হয় ২০১৮ সালের অক্টোবরে।’‌ বৃহস্পতিবার হঠাৎ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ডেকে পাঠান পবিত্রবাবুকে। তিনি দ্রুত ব্যাঙ্কে এসে দেখেন, লকার ভাঙা, খোওয়া গিয়েছে সব গয়না। পবিত্রবাবু বলেন, ‘‌আমি ব্যাঙ্কে এসে দেখলাম লকার খোলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। লকারে যাবতীয় যা ছিল তার কিছুই আর নেই। ওতে আমাদের পারিবারিক ৬০–৭০ ভরি গয়না ছিল। যা পুরোপুরি খোওয়া গিয়েছে।’‌ এ ব্যাপারে ব্যাঙ্ক থেকেও তিনি কোনও সদুত্তর পাননি বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ হাসিনা সরকারের

এ ব্যাপারে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া না পেয়ে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পবিত্র সামন্ত। পুলিশ তদন্তে করে দেখেছে, ওই লকারে যে লক বা তালা রয়েছে সেটি গায়ের জোরে খোলা হয়েছে যা পরে লাগানো যায়নি। তাই খোলা অবস্থায় রাখা ছিল লকারটি। এদিকে, এই ঘটনার নেপথ্যে ব্যাঙ্ক কর্মীদেরই একাংশ জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার ও কর্মীদের।

সামন্ত পরিবারের অভিযোগ, এ কাজে ব্যাঙ্কেরই কেউ যুক্ত রয়েছেন। নইলে এমন কাজ হওয়া সম্ভব নয়। ঘটানার যথাযথ তদন্তের দাবি করে পবিত্র বাবু জানিয়েছেন, “লকারের চাবি আমাদের কাছেই ছিল। গত ২ বছরের মধ্যে এক বারও লকার খোলা হয়নি। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষও কিছু জানায়নি আমাদের। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ব্যাঙ্কের লকারে রাখা সোনা ব্যাঙ্কের কর্মীরা ছাড়া আর কেউ সরাতে পারে না।”

আরও পড়ুন: সুস্থ হচ্ছেন সৌমিত্র, কথা বলার চেষ্টা করছেন, আচ্ছন্ন ভাব কাটলেই মিলতে পারে ছুটি

Exit mobile version