Site icon The News Nest

করোনায় মৃত চিকিত্সকের বিল ১৮ লক্ষ! স্বাস্থ্য কমিশনের ‘অনুরোধ’ পেয়েই ৩ লক্ষ টাকা কমালো মেডিকা

স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যানের পাঠানো আবেদনমূলক মেসেজ পৌঁছতেই কমে গেল বেসরকারি হাসপাতালের বিল! এক ধাক্কায় বিল কমল ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা।

করোনা পর্বে যখন অধিকাংশ চিকিৎসকের চেম্বার বন্ধ ছিল, হাসপাতালের আউটডোর বন্ধ ছিল তখন একেবারে সামনে থেকে নিজের চেম্বার খুলে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিয়েছিলেন এই চিকিৎসক। শুধু তাই নয়, বন্ধ কারখানা শ্রমিকদের এক টাকা,  দু’টাকা, বিনামূল্যে দেখে দিতেন। উত্তর ২৪ পরগনায় বারাকপুর থেকে নৈহাটি বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ‘প্রদীপ ডাক্তার’ ভগবান হিসেবে পরিচিত ছিলেন আমজনতার কাছে। শেষে তিনি নিজেই সংক্রামিত হন গত মাসে।

আরও পড়ুন: হস্টেলে আটকে রেখে ডাক্তারি পড়ুয়াকে লাগাতার ‘ধর্ষণ’, কাঠগড়ায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক

আর তার চিকিৎসার বিল টানতে যখন পরিবার হিমশিম খাচ্ছে, তখন এলাকার মানুষ নিজেরাই চাঁদা তুলতে শুরু করেছিলেন প্রিয় ডাক্তার কে বাঁচানোর জন্য। মেডিকা হাসপাতালে দীর্ঘ চিকিৎসা করেও শেষরক্ষা হয়নি। সোমবার দুপুরে মারা যান তিনি। তার পরেই তাঁর পরিবারের হাতে প্রায় ১৯ লক্ষ টাকার বিল ধরায় মেডিকা। এ নিয়েই সরব হয়েছিল একাধিক চিকিৎসক সংগঠন। চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ প্রশ্ন তুলেছিলেন, একজন কোভিড যোদ্ধাকে যদি এমন ভাবে নিঃস্ব হয়ে যেতে হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে! এই বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও তোলপাড় চলে।

বুধবার রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান টেক্সট মেসেজ করে বিল রিভিউ করার নির্দেশ দেন। বুধবারই হাসপাতালের পক্ষে বিল রিভিউ করা হবে বলে জানানো হয়। এদিন ছাড়ের কথা জানানো হয়েছে। ২৩ দিন আইসিইউতে ছিলেন চিকিৎসক প্রদীপ ভট্টাচার্য। মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, মোট বিল হয় ১৮ লক্ষ ৩৪ হাজার ৯৫২ টাকা। এর মধ্যে ওষুধের বিল ৬ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা। বিমা কোম্পানি (টিপিএ) দিয়েছে ৩ লক্ষ টাকা। চিকিৎসকের পরিবার হাসপাতালকে দেয় ১১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। মোট বিল থেকে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা বাদ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে মেডিকা।

আরও পড়ুন: দিঘায় উঠছে ‘ বড় সাইজের’ ইলিশ! দাম চড়া হওয়া সত্ত্বেও মানুষের ঢল বাজারে

 

Exit mobile version