Site icon The News Nest

কর্মী-মৃত্যুকে নন্দীগ্রামকাণ্ডের সঙ্গে তুলনা দিলীপের, মঙ্গলে উত্তরবঙ্গ বনধের ডাক বিজেপির

uttarknaya

দিনকয়েক আগের তাঁদের দলেরই নবান্ন অভিযান নয়, বরং সোমবার বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযানকে কেন্দ্র করে কর্মীর মৃত্যুর সঙ্গে নন্দীগ্রামে পুলিশি গুলিচালনার তুলনা টানলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন শিলিগুড়িতে, অভিযানের শুরু থেকে উত্তপ্ত হতে থাকে গোটা এলাকার পরিস্থিতি। আর তারই মাঝে পড়ে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ।

বিজেপির দাবি পুলিশের পক্ষ থেকে লাঠিচার্জের পাশাপাশি পাখি মারার মতো ছররা গুলিও ছোঁড়া হয়েছে, যার জেরে মৃত্যু হয় উলেন রায় নামের এক ব্যক্তির। মেডিকেল রিপোর্টেও এমনটাই বলা হয়। যদিও এ কথা অস্বীকার করা হয়েছে পুলিশের তরফে।

আরও পড়ুন: ৭ দিনের মধ্যে কলকাতা পুরসভার ভোটের দিন ঘোষণা করতে হবে, নির্দেশ সু্প্রিম কোর্টের

রাজ্য পুলিশের তরফে টুইটে জানান হয়, “শিলিগুড়িতে আজ একটি রাজনৈতিক দলের সমর্থকরা তাঁদের প্রতিবাদ কর্মসূচির সময় মারাত্মক সহিংস হয়ে উঠেছিলেন। তাঁরা অগ্নিসংযোগ, ইট-পাথর ছোঁড়া, গুলি চালানো ও সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর চালায়। পুলিশ সংযম দেখায়, কোনও লাঠিচার্জ বা অস্ত্রও ব্যবহার করেনি। উত্তপ্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কেবল জল কামান এবং টিয়ার গ্যাস ব্যবহৃত হত। তবে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠান হয়। মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে ময়নাতদন্তের পরে।”

বিজেপির অভিযোগেই সিলমোহর দিয়েছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিজেপির রাজ্য পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়-র দাবি, শান্তিপূর্ণভাবে মিছিলের উপর পুলিশের আক্রমণে গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব হয়েছে। পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, ফের বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করেছে।

দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, ‘কলকাতায় নবান্ন অভিযানের দিনও পুলিশ বাড়ির ছাদ থেকে বোমা ছুড়েছিল। আর আজ লাঠি, বোমা, গুলি চালিয়েছে। আমাদের এক কর্মী মারা গিয়েছেন। অনেকে আহতও হয়েছেন। নন্দীগ্রামের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।’ কর্মী মৃত্যুর প্রতিবাদে মঙ্গলবার ১২ ঘণ্টার উত্তরবঙ্গ বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। উল্লেখ্য, আগামীকাল কৃষকদের ডাকে ভারত বনধও রয়েছে।

আরও পড়ুন: মাধ্যমিকে বাতিল টেস্ট, বিনা পরীক্ষায় ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পাস, ঘোষণা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের

 

Exit mobile version