Site icon The News Nest

কতই রঙ্গ…! এবার বিজেপি ছাড়লেন শোভন – বৈশাখী

Sovan Baishakhi1 768x432 1

বিজেপির সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee) ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baisakhi Banerjee)। আজই বেহালা পূর্ব কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। সেখানে তৃণমূলের রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিনেত্রী পায়েল সরকারকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। এই কেন্দ্র থেকেই লড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন শোভন। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই নেতৃত্বকে দলের সব পথ থেকে অব্যাহতি চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন শোভন-বৈশাখী।

রবিবার বিকেলে বিজেপির দ্বিতীয় প্রার্থীতালিকা ঘোষণা হতে দেখা যায় বেহালা পূর্ব থেকে প্রার্থী করা হয়েছে অভিনেত্রী পায়েল সরকারকে। সেখানে নাম নেই শোভনবাবু বা বৈশাখীদেবীর। বেহালা পূর্ব কেন্দ্রের বিদায়ী বিধায়ক শোভনবাবু এর আগে দলের কাছে ওই কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তাকে গুরুত্ব দেয়নি বিজেপি। এর পরই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

সূত্রের খবর, রবিবার বিকেলে কলকাতা জোনের আহ্বায়কসহ বিজেপির সমস্ত পদ থেকে অব্যহতি চেয়ে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে চিঠি দিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন বৈশাখী। তিনি লিখেছেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হবে না। আমরাই জিতবো। বেহালা পূর্বের মানুষের আশীর্বাদ আমাদের সঙ্গে রয়েছে।’ তাহলে কি নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়াবেন তাঁরা – এই প্রশ্নই ঘুরছে রাজনৈতিক মহলে।

২০১৯ সালের ১৪ অগস্ট প্রিয় বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে দিল্লিতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন এক সময়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বস্ত সেনাপতি তথা কলকাতার প্রাক্তন মহানাগরিক শোভন চট্টোপাধ্যায়। যদিও সেই যোগদান খুব সুখকর হয়নি। নানা কারণে দলের সঙ্গে দুরত্ব তৈরি হয়েছিল তাঁর। দীর্ঘদিন ধরে দলীয় রাজনীতিতে নিস্ক্রিয় হয়ে বসেছিলেন তিনি। বিশেষ করে তাঁরই সঙ্গে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া প্রিয় বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনও সাংগঠনিক দায়িত্ব দিতে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব রাজি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন শোভন।

আরও পড়ুন:  বরাদ্দ আসনেই প্রার্থী দিতে পারছেন না আব্বাস সিদ্দিকি, বামেদের ফিরিয়ে দিল ৪টি আসন

শেষ পর্যন্ত বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে কলকাতার প্রাক্তন মহানাগরিকের মান ভাঙাতে শোভন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রাক্তন ছাত্রনেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডার সঙ্গে তাঁকে কলকাতা সাংগঠনিক জোনের সহ পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়। দায়িত্ব পেয়েই সক্রিয় হয়ে ওঠেন শোভন-বৈশাখী দুজনেই। দলের হয়ে মিছিল-সমাবেশ এমনকী পরিবর্তন রথযাত্রায়ও সামিল হয়েছিলেন দুজনে। কিন্তু ফের তাল কেটে যায়।

দিন কয়েক আগে জানা গিয়েছিল, সঙ্ঘ নেতাদের আপত্তিতে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ‘বিশেষ বান্ধবী’ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিধানসভা ভোটে দলীয় প্রার্থী হিসেবে দাঁড় না করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সেই সিদ্ধান্তের কথা শোভন ও বৈশাখী-দু’জনকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের এমন সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে ফের ক্ষুব্ধ হন শোভন।

বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের ওই বার্তা পেয়ে এতটাই চটেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্রিগেড সভাতেও গরহাজির ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। গত কয়েকদিন ধরে দলীয় কর্মসূচিতে তাঁদের অনুপস্থিতিও চোখে পড়েছে। আজকের প্রার্থী তালিকা সব জল্পনার অবসান করে দিল।

আরও পড়ুন: রবীন্দ্র মাস্টারকে প্রার্থী করায় সিঙ্গুরে বিজেপির কোন্দল প্রকাশ্যে

Exit mobile version