Site icon The News Nest

নির্বাচনের আগে ‘দুয়ারে তারকা’, দেব-মিমি-নুসরতদের দিয়ে তরুণ প্রজন্মকে কাছে টানার প্রয়াস তৃণমূলের

deb mimi nusrat 1552456206

রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পে এবার সাংসদ, বিধায়কদের নামাতে চাইছে তৃণমূল (TMC)। সূত্রের খবর, সেইমতো দেব, মিমি, নুসরতদের সঙ্গে কথা বলে দিনক্ষণ স্থির করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে শাসকদল। ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির বাকি একটা মাস অর্থাৎ জানুয়ারিতে এঁরাই দুয়ারে ঘুরে ঘুরে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেবেন, এমনই পরিকল্পনা।

ভোটের আগে কর্মসংস্থান, শিল্প ও রাজ্যের আর্থিক উন্নয়ন নিয়ে শাসক দলকে নিশানা করছে বিরোধীরা। গত ১০ বছরে বাংলায় কোনও শিল্পসংস্থা আসেনি বলে অভিযোগ তাদের। বিরোধী শিবিরের এই আক্রমণ ভোঁতা করতে যুব সমাজের কাছে সরকারি প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরতে চলেছে তৃণমূল (TMC)। জেলায় জেলায় চলবে প্রচার। তৃণমূল সূত্রে খবর, জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই পুরোদমে শুরু হয়ে যাবে ‘যুবক-যুবতীদের পাশে দিদি’ কর্মসূচি। তালিকায় রয়েছেন শতাব্দী রায়, মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান, দেব, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, লক্ষ্ণীরতন শুক্ল, ব্রাত্য বসু, মহুয়া মৈত্র এবং ডেরেক ও’ব্রায়েন। এঁদের মধ্যে শতাব্দী, মিমি, নুসরত, দেব তারকা সাংসদ।প্রত্যেক তারকাকে সপ্তাহে অন্তত দু’দিন করে এর জন্য সময় দিতে বলা হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।

বিধানসভা ভোটের আগে এঁদের দিয়ে তৃণমূল তরুণ প্রজন্মের কাছে পৌঁছতে চাইছে বলে দলীয় সূত্রের খবর। আগামী বিধানসভা ভোটে তরুণ প্রজন্মের একটি বড় ভূমিকা থাকবে বলেই রাজনৈতিক দলগুলি মনে করছে। সেই তরুণ প্রজন্ম বাছতে গিয়ে শাসক শিবির শুধু কলকাতা শহরের উপরেই নজর দিচ্ছে না। তারা মনে করছে, গত ১০ বছরে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকারের ‘উন্নয়ন’-এর ফলে জেলাশহরের তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও উচ্চাকাঙ্ক্ষা জন্ম নিয়েছে।

আরও পড়ুন: কেরালার বাম জোটের জয় কী বঙ্গ বামকে খানিকটা উৎসাহিত করবে?

তারাও স্বপ্ন দেখতে শিখেছে। কিন্তু তাদের একটা অংশ আবার ‘রাজনীতি-বিমুখ’। তাই তাদের সামনে এই আটজনের দৃষ্টান্ত রাখতে চাইছে তৃণমূল। যাতে ওই তারকারা বলতে পারেন, রাজনীতির জগতটা ‘অচ্ছুত’ নয়। বা রাজনীতির লোক মানেই ‘অপাংক্তেয়’ নয়। তেমন হলে এই তারকারা সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হওয়া সত্ত্বেও রাজনীতিতে আসতেন না বা রাজনীতিকে জীবনের আশু লক্ষ্য হিসেবে বেছে নিতেন না।

তবে এতে কোনও লাভ হবে না বলে দাবি দিলীপ ঘোষের। বিজেপির রাজ্য সভাপতির কথায়,’যুবক-যুবতীরা তো বটেই দিদির পাশে তো ভাইরা-ও নেই। একের পর এক কর্মসূচি আসছে। কিন্তু রাস্তায় তো কেউ নামছেন না।’

২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে ২০  থেকে ২৪ বছর বয়সের ভোটার রয়েছেন  ৯.৬%। ২৫ থেকে ২৯  বছর বয়সের ভোটার রয়েছে  ৮.৭৬%। আর ৩০ থেকে ৩৪ বছর ভোটারের সংখ্যাটা  ৭.৫%। অর্থাৎ মোট ভোটারের প্রায় ২৭ শতাংশই হল ২০ থেকে ৩৪ বছরের ভোটার। স্বাভাবিকভাবে আগামী ভোটে তরুণ প্রজন্মের ভোট ফ্যাক্টর হতে চলেছে।

আরও পড়ুন: আত্মনির্ভরতা শিখিয়েছিলেন কবিগুরু, রবি-চিন্তায় দেশবাসীকে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা মোদীর

 

Exit mobile version