আত্মনির্ভরতা শিখিয়েছিলেন কবিগুরু, রবি-চিন্তায় দেশবাসীকে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা মোদীর

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

শতবর্ষ উদযাপন শুরু হল বিশ্বভারতীতে। ৮ পৌষ বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা দিবস। এবার ১০০ বছরে পা দিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার তার শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত প্রধানমন্ত্রী-আচার্য নরেন্দ্র মোদী। সকালেই বিশ্বভারতীতে পৌঁছেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।

শুরুটা করেছিলেন, ‘হে বিধাতা, দাও দাও মোদের গৌরব দাও’ দিয়ে। শেষ করলেন – ‘ওরে গৃহবাসী খোল, দ্বার খোল’ দিয়ে। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তির অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৩৫ মিনিটের ভাষণে কমপক্ষে পাঁচবার উঠে এল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টি।

বৃহ্স্পতিবার নিজের ভাষণে আগাগোড়া রবীন্দ্রময় ভাষণ দেন মোদী। বিশ্বভারতীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। বলেন, ‘গুরুদেব যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা বাস্তবায়িত করার জায়গা হল বিশ্বভারতী।’ সঙ্গে জানালেন, কীভাবে আত্মনির্ভর ভারতের মূল ভিত্তি তৈরি করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। রাষ্ট্রবাদের যে ভাবনার সূচনা করেছিলেন তিনি, তা এখনও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান মোদী। বলেন, ‘গুরুদেব ভারতীয়দের পরম্পরার সঙ্গে বিশ্বভারতী গড়ে তুলেছিলেন, তা দেশের সহায়তা করেছে। বিশ্বভাতৃত্ব, রাষ্ট্রবাদের চিন্তায় মুখর ছিলেন তিনি। বিশ্বভারতীকে গুরুদেব যে স্বরূপ দিয়েছিলেন, তা ভারতের জাতীয়তাবাদের ক্ষেত্রে উদাহরণ হয়ে উঠেছে।’

আরও পড়ুন: শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ, সায়ন্তন বসুকে শো-কজ করল বিজেপি

‘লোকাল ফর ভোকাল’ এবং ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর লক্ষ্যে সবাইকে এগিয়ে আসতে আর্জি জানালেন। অনুপ্রেরণা হিসেবে রবীন্দ্রনাথের গানকে বেছে নেন। বলেন, ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তাহলে একলা চলো রে।’ ‘লোকাল ফর ভোকাল’ এবং ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর লক্ষ্যে সবাইকে এগিয়ে আসতে আর্জি জানালেন। অনুপ্রেরণা হিসেবে রবীন্দ্রনাথের গানকে বেছে নেন। বলেন, ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তাহলে একলা চলো রে।’

প্রধানমন্ত্রী নিজে গুজরাতের নাগরিক। রবীন্দ্রনাথও মাঝেমধ্যে গুজরাতে যেতেন। সে কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘‘কবিগুরুর দাদা সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর গুজরাতে থাকতেন বলে সেখানে মাঝেমধ্যেই যেতেন গুরুদেব। গুজরাতের সংস্কৃতি তাঁর ভাল লাগত। আমদাবাদে থাকাকালীনই দু’টি কাব্যগ্রন্থ লিখেছিলেন। ‘ক্ষুধিত পাষাণ’-এর কিছু অংশও সেখানেই লিখেছিলেন।’’

ভক্তি আন্দোলনের সঙ্গেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে যোগসূত্র খুঁজে বের করেন তিনি। সেই রেশ ধরে চৈতন্যু মহাপ্রভু, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব এবং স্বামী বিবেকানন্দের নামও নেন।

আরও পড়ুন: এবার নন্দীগ্রামে জনসভা মমতার, দোলাচলে কাঁথির তিন অধিকারী

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest