Site icon The News Nest

‘নিজেকে বিজেপির থেকে সুরক্ষিত চিহ্নিত করুন’,সোশ্যাল মিডিয়ায় নয়া কৌশল তৃণমূলের

mark yoursel safe 4m bjp e1603519721773

২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপি-র মোকাবিলায় নতুন প্রচার শুরু করল তৃণমূল। মূলত সোশ্যাল মিডিয়ায় হবে এই প্রচার। অর্থাৎ, প্রচার চলবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। ওই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘মার্ক ইওরসেল্ফ সেফ ফ্রম বিজেপি’। অর্থাৎ, নিজেকে বিজেপি-র থেকে সুরক্ষিত বলে চিহ্নিত করুন। তৃণমূল সূত্রের দাবি, বিজেপি-র বিরুদ্ধে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতেই নতুন এই প্ল্যাটফর্ম।

সম্প্রতি বিজেপিকে অতিমারী বলে স্লোগান তুলেছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সেই স্লোগানকে সামনে রেখে এবার বিজেপিকে বিপর্যয়ের তকমা দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন প্রচার শুরু করল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস – ‘নিজেকে বিজেপির থেকে সুরক্ষিত চিহ্নিত করুন‘ (Mark Yourself Safe from BJP)। যার বিকল্প এখনও খুঁজে পায়নি গেরুয়া শিবির।

কিন্তু নয়া প্রচারের কৌশলটি কী?‌ জানা গিয়েছে, ফেসবুক যেভাবে জানতে চায় কোথায় কতজন সুস্থ আছেন, নিরাপদে আছেন তা চিহ্নিত করে জানাতে। একেবারে সেই পদ্ধতিতে আনুষ্ঠানিক স্লোগান—নিজেকে বিজেপি’‌র থেকে সুরক্ষিত চিহ্নিত করুন। এই কর্মসূচিতে রেজিস্টার করিয়ে প্রাক-ভোট জনমত তৈরির কাজটা শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। দায়িত্বে সেই ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের দল আইপ্যাক। এখান থেকে যে রিপোর্ট উঠে আসবে তাতেই ঠিক হবে পরবর্তী রণকৌশল।

এই নয়া ধাঁচের প্রচার কৌশলে সামনে রাখা হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিক, দলিত নিগ্রহ, দাঙ্গার মতো ইস্যুগুলিকে। দলের অন্দরের খবর, এতে দু’টি লাভ হবে। এক, বিজেপি বিরোধী মত জানা যাবে। দুই, কোথাও কেউ বিজেপি’র হাতে অত্যাচারিত কিনা, সেটাও সামনে আসবে। আবার সেই ঘটনা মানুষও জানতে পারবে। ‘বাংলার গর্ব মমতা’, ‘দিদিকে বলো’ এসব নানা পেজে এই ক্যাম্পেন চালানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ইস্তফা নয়, সকালের ‘অভিমান’ ভুলে দুপুরেই প্রত্যাবর্তন সৌমিত্রর, কিছুই জানেন না দিলীপ

এই প্রচারের জন্য savebengalfrombjp.com নামে একটি ওয়েবসাইটও খোলা হয়েছে। রবিবার বেলা  ১২. ৩০ পর্যন্ত  প্রায় ২ লক্ষ ৫১ হাজার ৩৩১ জন মানুষ সেখানে নিজেকে ‘সেফ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। ওই ওয়েবসাইটের পাশাপাশি ফেসবুকের মাধ্যমেও নিজেকে ‘সেফ’ চিহ্নিত করার সুযোগ রয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের আশা, অনতিবিলম্বে ওই কর্মসূচিতে রাজ্যের সমস্ত স্তরের মানুষ যোগ দেবেন।

‘বাংলার গর্ব মমতা’ নামে টুইটার হ্যান্ডলেও এই প্রচার কর্মসূচি নিয়ে লেখা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘বই পড়ার বয়সে বাচ্চাদের হাতে তরোয়াল ও বন্দুক তুলে দেওয়া হচ্ছে। ধর্ম ও বর্ণের ভিত্তিতে মানুষকে আক্রমণ করা হচ্ছে। আমাদের এই বিভেদের রাজনীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো উচিত।’

বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। তার দামামা ইতিমধ্যে বেজে গিয়েছে। বিজেপি বা তৃণমূল উভয়েই নানা কর্মসূচি নিচ্ছে। করোনাভাইরাস, দুর্গাপুজোর মত ইস্যুও বাদ যাচ্ছে না সেই পর্বে। বিরোধী দল থেকে গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পালাও চলছে। তার মধ্যেই এই ধরনের নতুন সোশ্যাল মিডিয়া লড়াই শুরু করে দিল শাসকদল। তাতে আপাতত বিরোধী শিবিরকাত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

আরও পড়ুন: মাস্ক নেই কুমারী মায়ের মুখে, সমালোচনার মুখে পরে ‘আধ্যাত্মিক’ যুক্তি বেলুড় মঠের

Exit mobile version