পূর্ব বর্ধমানে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। সাত সকাল থেকেই উত্তপ্ত মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম, আউশগ্রাম। তৃণমূল-বিজেপি দুই পক্ষেরই কর্মী-সমর্থকরা আক্রান্ত। বোমাবাজি হচ্ছে। গুলি চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশকে। এলাকায় এখন পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
সকাল থেকে কেতুগ্রামে বোমাবাজি হচ্ছিল। বেলা গড়াতে ভোটের উত্তাপ ছড়াল মঙ্গলকোটেও। যুযুধান দুই পক্ষই একে অপরের ওপর দোষ চাপিয়েছে। অভিযোগ, দুই তরফেরই দুষ্কৃতীরা বোমা-গুলি মজুত করে রেখেছিল। ভোট শুরু হতেই বোমা ছোড়া হচ্ছে। মারধর করা হচ্ছে পোলিং এজেন্টদের।
মঙ্গলকোটের ঝাড়গ্রাম ৯ নম্বর বুথে তৃণমূলের পোলিং এজেন্টের ওপরে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। তিনি জানান, খেতে বেরিয়েছিলেন। বুথের বাইরে তাঁকে দেখেই ছুটে আসে দুষ্কৃতীরা। ঘিরে ফেলে তাঁকে। হুমকি দিতে শুরু করে। তিনি প্রতিবাদ করলেই মারধর শুরু করে তারা। পোলিং এজেন্টের অভিযোগ, সকলের মুখে গামছা বাঁধা ছিল। লাঠি দিয়ে মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। যদিও বিজেপির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও অবধি পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: Earth Day 2021: Google Doodle-এ বিশেষ বার্তা বসুন্ধরা দিবসে! দেখুন…
অন্যদিকে, মঙ্গলকোটেরই একটি বুথে বিপেজি পোলিং এজেন্টকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের দাবি, নিগন পূর্বপাড়ার বিজেপি পোলিং এজেন্টকে বুথ থেকে বের করে মারা হয়েছে। তাঁকে রাস্তায় ফেলে পিটিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে, পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিজেপির বক্তব্য, গুলি-বোমা মজুত করে রেখেছিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। বুথ দখলের জন্য বীরভূম থেকে দুষ্কৃতী পাঠানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছে গেরুয়া শিবির। যদিও বিজেপির সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে ভোট ১৩ মে নয়, দিন পরিবর্তন করল কমিশন