Site icon The News Nest

সুপ্রিম কোর্টেও পুড়ল মুখ, CAA হোর্ডিং কাণ্ডে যোগী সরকারকে ভর্ৎসনা আদালতের

up hoarding 759

নয়াদিল্লি: এলাহাবাদ আদালতের পর এবার সুপ্রিম কোর্টেও ভর্ৎসনার মুখে পড়ল উত্তরপ্রদেশ সরকার। CAA বিরোধী আন্দোলনের পর উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ সরকার আন্দোলনকারীদের চিহ্নিত করতে ‘Name and Shame’ পোস্টার টাঙিয়েছিল৷ সেখানে আন্দোলনকারীদের ছবি দেওয়া ছিল। এবার সেই পোস্টার বা ব্যানার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও ভর্ৎসনার মুখে পড়ল যোগী সরকার। শীর্ষ আদালতের অবকাশকালীন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার বলেছে, আইনবিরুদ্ধ কাজ করেছে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকার। এমন কোনও আইন নেই, যার দৌলতে উত্তরপ্রদেশ সরকারের এই কাজকে বৈধ বলা যায়।

আরও পড়ুন: করোনার জেরে শেয়ার বাজারে ধস অব্যাহত, রেকর্ড পতন সেনসেক্স-নিফটির, অর্থনীতিতে বিপর্যয়ের আশঙ্কা

সম্প্রতি, গোটা লখনউ শহরের বিভিন্ন রাস্তা ঢেকে যায় বড় বড় হোর্ডিং-এ। এই হোর্ডিং-এ ৫৩ জন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনকারীদের নাম, ছবি-সহ ঠিকানা টাঙিয়ে দেওয়া হয়। ৫৩ জনের মধ্যে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার এস আর দারাপুরি, সমাজকর্মী মহম্মদ শোয়েব, কবি দীপক কবীরের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। রয়েছে কংগ্রেসের স্থানীয় মহিলা নেত্রী সাদাফ জাফরের নাম-ছবিও। গত সপ্তাহেই ইলাহাবাদ হাইকোর্ট যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে ওই সব হোর্ডিং অবিলম্বে সরিয়ে ফেলতে বলে। বিতর্কিত সমস্ত হোর্ডিং সরিয়ে ১৬ মার্চের মধ্যে হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে রিপোর্ট দিতে হবে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে। সোমবার এমনই নির্দেশ দিয়েছিল আদালতের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। একইসঙ্গে যোগী প্রশাসনকে ‘নির্লজ্জ’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন বিচারপতি।

আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীর লেটারহেড থেকে ‘গায়েব’ বাংলা, সোশ্যাল মিডিয়াতে চড়ছে বিতর্কের পারদ

ইলাহাবাদ হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। এ দিন তার শুনানি ছিল শীর্ষ আদালতের অবকাশকালীন বেঞ্চে। উত্তরপ্রদেশ সরকার চেয়েছিল, ইলাহাবাদ হাইকোর্টের ওই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করুক সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু শীর্ষ আদালতের অবকাশকালীন বেঞ্চ তাতে রাজি হয়নি। বরং জানিয়েছে, নিষ্পত্তির জন্য বিষয়টির শুনানি হোক সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের একটি বেঞ্চে।

মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকারের পক্ষে এ দিন সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা। তিনি জানান, আইনি প্রক্রিয়া শুরুর পরেই ওই হোর্ডিং টাঙানো হয়েছিল। তার প্রেক্ষিতেই শীর্ষ আদালতের অবকাশকালীন বেঞ্চ বলে, এমন কোনও আইন নেই যার দৌলতে এই কাজ বৈধ হতে পারে। এই মামলার দ্রুত শুনানির জন্য যাতে একটি শক্তিশালী বেঞ্চ গড়ে দেওয়ার জন্য যাতে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে ব্যবস্থা নেন, সেই আর্জি জানিয়ে শীর্ষ আদালতের রেজিস্ট্রিকেও নির্দেশ দিয়েছে অবকাশকালীন বেঞ্চ।

 

(আপনার আশপাশের পরিবর্তনের অংশ হতে চান? আমাদের খবর পাঠান ইমেল্ ও হোয়াটআপের মাধ্যমে)

Exit mobile version