The News Nest: অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের আত্মহত্যা। মুম্বইতে নিজের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন তিনি। বান্দ্রায় নিজের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ। ১৯৮৬-তে পটনায় জন্ম সুশান্তের। মাত্র ৩৪ বছর বয়সে আত্মঘাতী সুশান্ত। জানা গেছে, সুশান্তর পরিচারক ফোন করে পুলিশকে এই খবর দেন।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সকাল ১০টা নাগাদ সুশান্তকে জুসের গ্লাস হাতে দেখেন পরিচারক। তাঁকে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করতেও দেখেন তিনি। দুপুর ১২টায় পরিচারক দরজার কড়া নাড়েন। সুশান্তর বন্ধুও দরজায় ধাক্কা দেন। সাড়া না পেয়ে ফোন করেন সুশান্তর বন্ধু, মেলেনি জবাব। জবাব না মেলায় দরজা ভাঙার চেষ্টা করা হয়। এরপর এক চাবিওয়ালাকে ডেকে দরজা খোলা হয়। দরজা খুলে সুশান্তকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
৬ মাস আগেই বান্দ্রার ভাড়ার ফ্ল্যাটে ওঠেন সুশান্ত। প্রতি মাসে ফ্ল্যাটের ভাড়া ৪.৫১ লক্ষ টাকা। ভাড়ার চুক্তি ছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। অবসাদের চিকিৎসা চলছিল সুশান্তর।
আরও পড়ুন: #Shocking: শেষ হল ময়নাতদন্ত, আগামীকাল শেষকৃত্য সুশান্ত সিংহ রাজপুতের
পরনে রয়েছে ধূসর রঙের শর্টস আর রয়্যাল ব্লু টি-শার্ট। শরীর একেবারে হলদেটে। গলায় ফাঁসির গভীর ক্ষত। একেবার গাঢ় লাল হয়ে রয়েছে। একগাল দাড়িওয়ালা সুশান্তের চোখ ঢুলু ঢুলু। অসাড় দেহ নিয়ে চেয়ে আছেন। অপলক। ঘর একাবারে গোছানোই। মনের মধ্যে যে উথালপাতাল হচ্ছিল, তার বিন্দুমাত্র রেশ নেই ঘরে। দুধ সাদা চাদরে ঢাকা বিছানা। বালিশও একই রঙের। মাথার পাশের টেবিলেই রাখা এসির রিমোট। গুছিয়ে রাখা ওষুধপত্র। পুলিশের অনুমান আত্নহত্যাই করেছেন সুশান্ত। যদিও সন্দেহভাজন কোনও কিছু সুশান্তের ঘর থেকে পাওয়া যায়নি। পাওয়া যায়নি কোনও ‘সুইসাইড নোট’-ও। তবে পাওয়া গিয়েছে অবসাদ ও হাইপার টেনশনের প্রেসক্রিপশনসহ ওষুধ।
কাই পো চে। সুদ্ধ দেশি রোমান্স। পিকে। ডিটেক্টিভ বোমক্যাশ বক্সি। এমএস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি। রাবতা। কেদারনাথ। সোনচিড়িয়া। ড্রাইভ। ছিছোড়ে। ২০১৩ থেকে ২০২০- এটাই ছিল নায়ক সুশান্ত সিংহ রাজপুতের বলিউড কেরিয়ার। সাত বছরের ছোট্ট কেরিয়ারে সুশান্তের বড় ইনিংস ছিল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির বায়োপিক। এই ছবি নিঃসন্দেহে অভিনেতা হিসেবে সুশান্তকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেল। সামনেই রিলিজ তাঁর শেষ ছবি ‘দিল বেচারা’-র। তবে সেই ছবির মার্কশিট আর দেখা হল না তাঁর।
আরও পড়ুন: খবরের চ্যানেল থেকেই মর্মান্তিক খবর পেয়েছেন পরিবারের লোকজন, অসুস্থ হয়ে পড়লেন সুশান্তর বাবা