Site icon The News Nest

‘বয়েজ লকার রুম’-কোনও ছেলে নয়, ফেক অ্যাকাউন্টে ধর্ষণের প্ররোচনা কিশোরীর!

bois locker

নয়াদিল্লি: ইনস্টাগ্রামে বয়েজ লকার রুমে বলে একটা পেজে স্কুল পড়ুয়াদের আলোচনা প্রকাশ্যে আসার পরেই চমকে ওঠে গোটা দেশ। পুলিশ জানিয়েছে মূল বিতর্ক যেটি নিয়ে, সেই ধর্ষণ সংক্রান্ত স্ক্রিনশট আদপে বয়েজ লকার রুমের অংশই নয়! শুধু তাই নয়, কোনও ছেলে সেই মেসেজগুলি লেখেনি। একটি মেয়ে তার বন্ধুকে পরীক্ষা করার জন্য ফেক অ্যাকাউন্ট খুলে নিজের ওপরেই রেপের পরিকল্পনা করে একটি ছেলেকে পাঠায়! এমনটাই দিল্লি পুলিশের দাবি।

দিল্লি পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর অন্বেষ রায় পুরো বিষয়টি বুঝিয়ে জানান যে একটি কিশোরী ফেক স্ন্যাপচ্যাট অ্যাকাউন্ট খুলে তাঁর বন্ধুর চরিত্র পরীক্ষা করতে গিয়েছিল! সে দেখতে চেয়েছিল ধর্ষণ করার জন্য উস্কানি দিলে কেমন প্রতিক্রিয়া দেয় তার বন্ধু। এই কারণে সিদ্ধার্থ নামের একটি ছেলের ফেক অ্যাকাউন্ট খুলে নিজের বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারপর নিজেরই ধর্ষণের আইডিয়া সিদ্ধার্থের মাধ্যেমে তার বন্ধুকে দেয় সে।

আরও পড়ুন: ১২ মে থেকে ফের পরিষেবা শুরু করছে রেল, সোমবার থেকে শুরু আসন সংরক্ষণ

ছেলেটি যদিও এই সব কথায় পাত্তা দেয় নি। উল্টে কেউ এরকম প্ল্যান করছে সেটি মেয়েটিকে জানায় সে। অন্য কিছু বন্ধুকেও সেই স্ক্রিনশটটি পাঠায় সে। মেয়েটি যেহেতু সত্যিটা জানত, সে আর কথা বাড়ায়নি। কিন্তু অন্য বন্ধুদের হাত ধরে সেই স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়ে যায়। বয়েজ লকার রুম বিতর্কের সময় এই চ্যাটটিও সেটির অংশ বলে অনেকে মনে করেছিল, তদন্ত করতে গিয়ে বুঝেছে পুলিশ। 

তবে মেয়েটির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলেই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এই ফেক রেপ থ্রেট ও বয়েজ লকার রুম পৃথক ইস্যু বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। অন্যদিকে নাবালিকা মেয়েদের বিষয় উলটোপালটা কথা বলা, তাদের ব্যক্তিগত ছবি ভাইরাল করার অভিযোগে একজন প্রাপ্তবয়স্ক অ্যাডমিন ও একজন নাবালককে আটক করেছে পুলিশ। ১৬ নাবালক সহ আরও ২৪ জনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ ও তাদের ফোন সিজ করা হয়েছে। দিল্লির নামজাদা স্কুলে পড়ে তাদের অনেকে। এই বিষয় তদন্ত চলছে ও ইনস্টাগ্রামের সাহায্য নিচ্ছে পুলিশ তথ্যের জন্য। 

আরও পড়ুন: মিলেছে কেন্দ্রের ছাড়পত্র, লকডাউনেই খুলছে CBSE-র ৩০০০ স্কুল!

Exit mobile version