Site icon The News Nest

শীর্ষ নেতাদের অপসারণ চেয়ে আলিমুদ্দিনে চিঠি কান্তি গাঙ্গুলির, দল ছাড়ার জল্পনা

kanti ganguly scaled

দলের বিপর্যয় নিয়ে রাজ্য কমিটির বৈঠকে দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। এবার রাজ্য নেতৃত্বের প্রতি চরম অনাস্থা প্রকাশ করে খোলনলচে বদলের দাবি জানালেন তিনি। সঙ্গে শোচনীয় পরাজয় নিয়ে মূল্যায়ন করতে পার্টির রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রকেও চিঠি দিলেন এই বাম নেতা।

কেমন সিপিএম দেখতে চান? সূর্যকান্ত মিশ্র ও বিমান বসুকে চিঠি দিয়ে ‘মন কি বাত’ জানিয়েছেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় (Kanti Ganguly)। সূত্রের খবর, চিঠিতে তিনি লিখেছেন,’দলে মরচে ধরেছে। অবিলম্বে সমস্ত কমিটি ভেঙে শূন্য থেকে শুরু করা হোক। হতাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই। রেড ভলান্টিয়াররা ভালো কাজ করছেন। কেউ কেউ আবেগে ঝান্ডাও হতে নিচ্ছেন। তবে ঝান্ডা ছাড়াই দাঁড়াতে হবে মানুষের পাশে। স্বাধীনভাবে কাজের পরিসর দেওয়া উচিত ছাত্র-যুবদের।’

এর সূত্রপাত ২ মে। বাংলায় বামেদের বিপর্যয়ের দিন। ভরাডুবির পরেই পার্টির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে তোপ দেগেছিলেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। ক্ষোভ উগড়ে দেন সংযুক্ত মোর্চার অপর দুই সঙ্গী কংগ্রেস (Congress) এবং ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (Indian Secular Front) বিরুদ্ধে। বর্ষীয়ান এই নেতার নিশানায় বিদ্ধ হন আলিমুদ্দিনের কর্তারাও। জোটের প্রয়োজন ও প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে তোলেন হাজারও প্রশ্ন। সূত্রের খবর, জেলা পার্টির সভাতেও নিজের ক্ষোভ চেপে রাখেননি।‌ আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করান সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসুদের।‌ বিতর্কের জল গড়ায় রাজ্য কমিটির বৈঠক পর্যন্ত। রাজ্য সম্পাদক ও বামফ্রন্ট চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগেন। সূর্যকান্ত মিশ্রর উদ্দেশে সকলের সামনেই কটূক্তি করেন বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে অবতীর্ণ হন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ী। তাঁর সঙ্গেও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় বলে সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন: প্রশিক্ষণ ছাড়াই টিকা দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন আসানসোলের প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র

এরপরই নিজের মূল্যায়ন লিখিত আকারে আলিমুদ্দিনে (Alimuddin) পাঠান কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। ভোটে কংগ্রেস ও আইএসএফের সঙ্গে বামেদের জোটকে অবাস্তব ও দায়িত্বজ্ঞানহীন অ্যাখ্যা দেন তিনি। সেইসঙ্গে জোট ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি নেতৃত্ব পরিবর্তনের দাবি ও সর্বস্তরের কমিটি ভেঙে দেওয়ার কথাও চিঠিতে লেখেন বলে জানা গিয়েছে।

যদিও, পার্টিকে চিঠি দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন রায়দিঘির প্রাক্তন বিধায়ক। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি পার্টিকে কোনও চিঠি দিইনি। যা বলার প্রকাশ্যেই বলেছি।’’ তবে মুজফ্ফর আহমেদ ভবন সূত্রে খবর, কান্তির চিঠি ইতিমধ্যে হাতে পেয়েছেন রাজ্য সম্পাদক। চিঠি নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে পলিটব্যুরো সদস্য তথা বর্ষীয়ান নেতা বিমান বসুর। আলিমুদ্দিন ষ্ট্রিট সূত্রে খবর, আগামী মঙ্গলবার কান্তিকে মুজফ্ফর আহমেদ ভবনে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাঁর সঙ্গে কথা বলবেন বিমানবাবু।

আরও পড়ুন:   না জানিয়ে বিধায়করা কোথাও যেতে পারবেন না, শুভেন্দুকে রুখতে মরিয়া দিলীপ!

 

Exit mobile version