ভারতী ঘোষকে (Bharati Ghosh) জাতীয় মুখপাত্র (National Spokesperson) করল বিজেপি (BJP) ৷ রবিবার বিজেপির তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে ৷
বাংলার বিধানসভা ভোটে অনেক ঢাকঢোল পিটিয়েও লাভ হয়নি। ২০০ আসনের স্বপ্ন দেখে ৭৭ আসনে থেমে যেতে হয়েছে বিজেপি-কে। আর তারপর থেকেই দলবদলের খেলা চালু হয়েছে। ভোটের আগে তৃণমূল থেকে বিজেপি যোগদানের হিড়িক পড়েছিল। ভোটের পর হয়েছে উল্টোটা। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল থেকে আসা বা তৃণমূলের সঙ্গে ‘সম্পর্কযুক্ত’ ব্যক্তিদের আর বড় পদ দেওয়ার পক্ষপাতী নয় বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কিন্তু ভারতী ঘোষের (Bharati Ghosh) ব্যাপারই যেন আলাদা। ২০১৯ লোকসভা ও ২০২১ বিধানসভা ভোটে বিজেপি-র হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন ভারতী। কিন্তু দুবারই হেরেছেন। তা সত্ত্বেও ভারতীকে এবার বড় পদ দিল বিজেপি।
আরও পড়ুন: ‘দুয়ারে রেশন’-এর উদ্বোধন করলেন মমতা, ডিলারদের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি মমতার
রবিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি মারফৎ বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডার তরফে জানানো হয়, পশ্চিমবঙ্গ থেকে ভারতী ঘোষকে জাতীয় মুখপাত্রের দায়িত্ব দেওয়া হল। তাঁর সঙ্গে একই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শাহজাদ পুনাওয়ালাকে। কিন্তু ভারতীয় এই পদ পাওয়া রাজ্য বিজেপি-র অন্দরে রীতিমতো সাড়া ফেলেছে।
Vinod Tawde appointed as BJP national general secretary and Rituraj Sinha & Asha Lakra appointed as national secretaries. pic.twitter.com/RtTNdUciko
— ANI (@ANI) November 21, 2021
প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ভারতী ঘোষ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স থেকে স্নাতক হন। তাঁর কর্মজীবন শুরু করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন বিভাগে (সিআইডি)। তিনি ২০১৯ সালে বিজেপিতে যোগ দেন। পরবর্তী সময়ে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ঘাটাল কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম মনোনীত করে বিজেপি। অভিনেতা দেবের কাছে হেরে যান তিনি। ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে তিনি ডেবরা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হন। এই কেন্দ্র থেকে তিনি আরেক আইপিএস অফিসার তৃণমূলের, হুমায়ুন কবীরের কাছে হেরে যান।
ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে সোনাপাচার-সহ বিভিন্ন ঘটনায় রয়েছে অন্তত ৩০টি অভিযোগ রয়েছে। তার যে কোনওটিতে যে কোনও সময় তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে পুলিশ। ভোটের আগে এমন এক পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট থেকে বড় স্বস্তি পেয়েছিলেন প্রাক্তন IPS ভারতী ঘোষ। তাঁর গ্রেফতারির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আদালত। বর্তমানে তিনি দলের রাজ্য সংগঠনে সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ৷ তার সঙ্গে তাঁকে জাতীয় মুখপাত্র করা হল ৷ ফলে দলে তাঁর গুরুত্ব বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন: হিন্দুদের ভাগ করে দিচ্ছে, লোকসভায় ৩ -টের বেশি পাবে না বিজেপি; ফাঁস সৌমিত্র খাঁর বিস্ফোরক অডিও