Site icon The News Nest

বিজেপির ইস্তাহার বানাতেন বুদ্ধদেব গুহ! তথাগতর দাবি ঘিরে নিন্দা – বিতর্ক

GUHA

সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ প্রয়াত হয়েছেন রবিবার গভীর রাতে। তাঁর মৃত্যুর পরেই সোমবার সকাল থেকে শোকপ্রকাশ চলছে নেটমাধ্যমে। বুদ্ধদেবের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে রাজ্য বিজেপি-র প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায় দাবি করলেন, তিনি একাধিক বার বুদ্ধদেবকে সঙ্গে নিয়ে দলের ইস্তাহার তৈরি করেছেন।

তথাগত লিখেছেন,  ”আমাদের প্রিয় লালাদা, বুদ্ধদেব গুহ প্রয়াত হলেন। সদাহাস্যময়, আড্ডাবাজ এই লোকটির সান্নিধ্য আর পাওয়া যাবে না। তাঁর সাহিত্যকীর্তির পাশাপাশি তাঁর ব্যক্তিত্বের স্বাদ আমরা যারা পেয়েছি কখনও ভুলতে পারব না। ওঁর আর একটা পরিচয়। উনি আর আমি মিলে একাধিকবার বিজেপির ম্যানিফেস্টো তৈরি করেছি।” সেই সঙ্গে আরেকটি পোস্টে তিনি লেখেন, ”ঋতুদি কিছুদিন আগে গেছেন। এবার লালাদা গেলেন। যেখানেই যান, সম্ভব হলে লেখায়, আড্ডায়, গানে সকলকে মাতিয়ে রাখুন। ওঁ শান্তি।”

আরও পড়ুন: রাজনীতিতে এঁটে উঠতে না পেরে ইডি-সিবিআইয়ের জুজু দেখাচ্ছে কেন্দ্র, ছাত্রপরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে তোপ মমতার

কিন্তু মৃত্যুর পর সেই সংক্রান্ত দাবি এ ভাবে প্রকাশ্যে আনা কি উচিত? এমন প্রশ্নেই সরব নেটাগরিকরা। বিজেপি-র অন্দরেও এ নিয়ে সমালোচনা চলছে। দলের রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘নয়ের দশকে বুদ্ধদেব গুহ ইস্তাহার তৈরিতে যে আমাদের সাহায্য করেছিলেন এটা ঠিক। কিন্তু আজকের দিনটায় এ ব্যাপারে আর কিছু আলোচনা করতে চাই না।’’

বুদ্ধদেবের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন বিজেপি-র অন্য নেতারাও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইট করে বুদ্ধদেবের সাহিত্যকর্ম নিয়ে প্রশংসাসূচক মন্তব্য করেছেন। কিন্তু কেউ-ই বিজেপি-র সঙ্গে প্রয়াত সাহিত্যিকের রাজনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে কিছু বলেননি। একটা সময় রাজ্য বিজেপি-র উদ্যোগে বিশিষ্টজনদের সভায় বুদ্ধদেব এসেছিলেন বলেও জানা যায়। তবে তিনি যে ইস্তাহার তৈরিতে সাহায্য করতেন, তেমন খবর প্রকাশ্যে আসেনি কখনও। তাঁর মৃত্যুর পর তথাগত যে দাবি করেছেন তার পক্ষে বা বিপক্ষে মত প্রকাশের সুযোগই নেই বিদেহী বুদ্ধদেবের। সেই সময়ে এমন দাবি করে প্রয়াত লেখকের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এমন রাজনৈতিক দাবি কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেটাগরিকরা। চলছে জোর সমালোচনাও।

আরও পড়ুন: সাধারণ পাথর! বিমানবন্দর থেকে বাজেয়াপ্ত ধাতু Californiumনয়, জানাল ভাবা রিসার্চ সেন্টার

 

Exit mobile version