Site icon The News Nest

মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কেন্দ্র গুরুত্ব দেয়নি: ঘাটালের জলে দাঁড়িয়ে বললেন মমতা

mamata ghatal 4

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান অনুমোদন না করার অভিযোগ আনলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম থেকে  হেলিকপ্টারে ঘাটাল যান তিনি৷ সেখানকার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তার পর জানান, দু-তিন দিন পর আরও বৃষ্টি হবে৷ পরিকল্পনা করে কাজ না করলে ঘাটাল শহরে প্রতি বছর এই অবস্থা হবে৷ মাস্টার প্ল্যান অনুমোদন জন্য কেন্দ্রের কাছে প্রতিনিধিদল পাঠাবেন৷ কলকাতায় গিয়ে তিনিও রিপোর্ট বানাবেন বলে জানান৷

এ দিন ১২ টা নাগাদ জলবন্দি ঘাটালে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জলে নেমে পৌঁছলেন দুর্গতদের পাশে। নিজের হাতে ত্রাণবিলি করলেন। কথা বললেন প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে। ঘাটালের পরিস্থিতি সামাল দিতে আরও কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, আজ তাঁর প্রশাসনিক বৈঠক করারও কথা রয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের বেশ কিছু এলাকা থেকে জল নামলেও এখন রাস্তার অবস্থা খারাপ।  বহু জায়গায় নলকূপ জলের তলায়।  ফলে দেখা দিয়েছে পানীয় জলের সমস্যা।

জেলা প্রশাসনের তরফে জলের পাউচ সরবরাহের পরিমাণ পর্যাপ্ত নয় বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের একাংশের। ফসলেরও ক্ষতিরও আশঙ্কা করা হচ্ছে। গতকাল ঝাড়গ্রামে, বিশ্ব আদিবাসী দিবস অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার আগে, আকাশপথে হাওড়ার আমতা-উদয়নারায়ণপুরের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: রাত থেকেই শুরু বর্ষণ, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের ১৫ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি চলবে, জানাল আলিপুর

মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি দেখলেন সাংসদ ও পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দেব। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে মুখ খুললেন দেব। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দেব বলেন, ‘বন্যা হয়ে যাওয়ার পর ক্ষতির জন্য টাকা পাঠানো হয়। কিন্তু এই টাকাটা যদি আগেই পাঠিয়ে দেওয়া হত। তাহলে হয়ত এই তাণ্ডবটা আটকানো যেতে পারত। বন্যাতে এত ক্ষতির মুখ দেখতে হত না। ঘাটালের মানুষদের যন্ত্রণার সাক্ষী থাকতে হত না।’

দেব এদিন আরও বলেন, ‘এখানে যে যে ব্রিজগুলো রয়েছে, তা খুব তাড়াতাড়ি মেরামত করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। বন্যা পরিস্থিতি মেকাবিলায় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে আমরা অনেক দিন ধরেই লড়াই করছি। দিল্লিতে গিয়ে প্রচুর বৈঠকও করেছি। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। কেন্দ্র রাজ্য দ্বন্দ্বের জন্যই এই কাজ আটকে রয়েছে। আমার এখনও মনে হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি দেশের প্রধানমন্ত্রী হন, তবে ঘাটালের মানুষ ভীষণভাবে উপকৃত হবেন।’

আরও পড়ুন: সায়ন্তন বসুকে ঘিরে খড়দহে ব্যাপক বিক্ষোভ, কর্মসূচি না সেরেই ফিরতে হল BJP নেতাকে

Exit mobile version