Site icon The News Nest

অবশেষে বিশ্বভারতীর ‘বোধোদয়’! আদালতের নির্দেশের ৪৮ ঘণ্টা পর ক্লাসে ফিরছেন ‘বহিষ্কৃতরা’

biswa varati 2

অবশেষে বোধোদয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ অবমাননার অভিযোগ ওঠার পর শেষ পর্যন্ত পর বহিষ্কৃত তিন পড়ুকে ক্লাসে ফেরানোর জন্য পদক্ষেপ করা হল। শুক্রবার সন্ধ্যায় এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিদ্যাভবনের দুই পড়ুয়া সোমনাথ সাউ এবং ফাল্গুনী পান। চিঠি দেওয়া হয়েছে এক ছাত্রী রূপা চক্রবর্তীকেও। তাঁদের ক্লাসে ফিরতে বলা হয়েছে। এই খবরে খুশির হাওয়া বিশ্বভারতীতে।

গত ৮ সেপ্টেম্বর, বুধবার কলকাতা হাই কোর্ট বিশ্বভারতীর তিন পড়ুয়ার বহিষ্কারের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছিল। ওই তিন পড়ুয়েক ক্লাসে ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। এর পর আন্দোলনে ইতি টানেন পড়ুয়ারা। অবস্থান মঞ্চও খোলা হয়। কিন্তু এর পরেও স্বাভাবিক পঠন-পাঠনে ওই তিন পড়ুয়া ফিরতে পারেননি বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: রাজ্যের ৬১ জন BJP বিধায়কের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করছে কেন্দ্র! নবান্নকে চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

বৃহস্পতিবার প্রোক্টরের কাছে ইমেল মারফত পঠন-পাঠন শুরু করার আবেদন জানান ওই তিন জন। কিন্তু তারও কোনও জবাব পাওয়া যায়নি বলে দাবি ছাত্র-ছাত্রীদের। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার সন্ধ্যায় হাই কোর্টের সেই নির্দেশ কার্যকর করতে বিদ্যাভবনের অধ্যক্ষকে চিঠি লিখলেন বিশ্বভারতীর প্রোক্টর শঙ্কর মজুমদার। শেষপর্যন্ত তাঁদের ক্লাসে বসার অনুমতি মিলল। বিদ্যাভবনের অধ্যক্ষ এবং অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধানকেও চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বহিষ্কৃত তিন ছাত্র ছাত্রীর পড়াশোনা করার যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা ফিরিয়ে দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে এই তিন জনকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করেছিল বিশ্বভারতী।

তবে শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশ কার্যকর করলেও বিশ্বভারতীর এত সময় লাগল কেন, সে নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতির কারণে বিশ্বভারতীতে এখন অনলাইনে পঠন-পাঠন চলছে। বহিষ্কারের পর বিভিন্ন গ্রুপ থেকে বার করে দেওয়া হয়েছিল ওই তিন পড়ুয়াকে। তাঁদের সেই গ্রুপগুলিতে ‘অ্যাড’ করা হলেই তাঁরা পঠন-পাঠনে অংশ নিতে পারবেন।

আরও পড়ুন: কেরলে বন্ধুদের হাতে খুন বাংলার শ্রমিক, দেহ মিলল বাথরুমের মেঝে খুঁড়ে

 

Exit mobile version