Site icon The News Nest

লকডাউনে কমেছে দূষণ, তিন দশক পরে কলকাতার ঘাটে ডলফিন

কলকাতা: লকডাউনের জেরে গঙ্গায় দূষণ অনেকটাই কমেছে। গঙ্গার জলের গুণমান বেড়েছে। আর সেই কারণে গত কয়েক দিনে বাবুঘাট, প্রেন্সিপ ঘাটসহ বিভিন্ন ঘাটেই দেখা যাচ্ছে শুশুক। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, লকডাউনের (Lockdown) জেরে দূষণের মাত্রা কমে যাওয়ায় ফের ফিরে এসেছে এই ডলফিনরা।

এক সময় হুগলি নদীতে (Hooghly River) এদের প্রচুর দেখা মিলত। এখন এদের সংখ্যা হাতে গোনা। তাই ‘বিলুপ্তপ্রায়’ তকমা জুটেছে কপালে। সেই ইন্ডিয়ান গ্যাঞ্জেটিক ডলফিন বা গঙ্গা শুশুক (Ganges Dolphin) ফের দেখা যাচ্ছে কলকাতার বিভিন্ন ঘাটে। গঙ্গা শুশুকের , দৈর্ঘ্যে মিটার দেড়েক। স্ত্রী প্রজাতিরা পুরুষের চেয়ে আকারে বড় হয়। ওজন প্রায় ১৫০ কেজি। গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা, কর্নফুলি, ঘর্ঘরা নদীতে এদের বাস। 

আরও পড়ুন:  World Book Day: স্মার্টফোনে নয়, এই গ্রাম আজও বুঁদ বইয়ের মায়াজালে

এই গঙ্গা শুশুকদের আসল নাম সাউথ এশিয়ান রিভার ডলফিন (South Asian River Dolphin)। এরা পৃথিবীর একমাত্র ডলফিন, যারা মিষ্টি জলে বাঁচে। কলকাতায় ফের এদের দেখা মেলায় উচ্ছ্বসিত পরিবেশবিদরা। কিছু দিন আগেই বাবুঘাটে শুশুক দেখেছেন পরিবেশবিদ বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরি। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বিশ্বজি্ৎ রায় চৌধুরি বলেন, “লকডাউনের কারণে মানুষের গতিবিধি কমেছে। হুগলি নদীর জলের গুণমানও বেড়েছে। তাই ডলফিনরা ফিরে আসছে।”

শুশুক বা গাঙ্গেয় ডলফিনদের বিলুপ্তির অন্যতম প্রধান কারণ গঙ্গায় দূষণ বলেই জানিয়েছেন বিশ্বজিৎ। কিন্তু একমাস ধরে চলা লকডাউনে জলদূষণ যেমন কমেছে, তেমন কমেছে শব্দদূষণ। মাছের ঝাঁকের শব্দ শুনে এরা বুঝতে পারে ঠিক কোন জায়গায় রয়েছে তাদের শিকার। নিজেদের মধ্যে কথা বলার জন্যও শব্দতরঙ্গের একটা নির্দিষ্ট মাত্রা আছে ডলফিনদের সংসারে। আবার গাঙ্গেয় ডলফিনদের বলা হয় ব্লাইন্ড ডলফিন। এরা মূল আলট্রাসনিক সাউন্ডের সাহায্যে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রেখে চলে। শব্দ এবং জল দূষণ গত এক মাসে কার্যত নেই বললেই চলে। আর এর জেরেই তারা ফিরে এসেছে আপন জায়গায়।

গণেশ চৌধুরি নাম এক ফটোগ্রাফারও সম্প্রতি কলকাতা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে লেন্সবন্দী করেন বেশ কয়েকটি ডলফিনকে। বিশ্বজিৎ বলেন, “আমি মনে করতে পারি ৩০ বছর আগে গঙ্গায় শুশুকদের দেখা মিলত প্রায়ই। যদিও দূষণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা হারিয়ে যায়।”

আরও পড়ুন:  Ramadan 2020: রোজা সম্পর্কে কয়েকটি সহজ কথা

Exit mobile version