Site icon The News Nest

Padma Bridge: পদ্মা সেতুর ৪২ স্তম্ভ স্পর্ধিত বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি: শেখ হাসিনা

sheikh hasina padma bridge scaled

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন সকাল ৯ টা ৫৫ তিনি মাওয়া সমাবেশ স্থলে পৌঁছন। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে চোখে জল দেখা যায় শেখ হাসিনার। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের কথা মনে করিয়ে দিয়ে রুদ্ধ গলায় স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের।

তিনি সেতু নির্মাণে সাহস জোগানো বাংলাদেশের জনগণকে স্যালুট জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতা আবৃত্তি করেন। তিনি বলেন, ‘জ্বলে পুড়ে মরে ছারখার, তবু মাথা নোয়াবার নয়। তিনি বলেন, ‘আমরা মাথা নোয়াইনি, আমরা মাথা নোয়াব না। জাতির পিতা আমাদের মাথা নোয়াতে শেখাননি।’

 

এই সেতু নির্মাণের সময় কোনও আর্থিক দুর্নীতি হয়নি, স্পষ্ট গলায় এদিন দাবি করেন শেখ হাসিনা। বিশ্ব ব্যাঙ্কের অর্থ বন্ধ করার প্রসঙ্গ টেনে এই মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর স্পষ্ট দাবি ছিল, ” বিশ্ব ব্যাঙ্কের তরফে আর্থিক তছরুপে যে অভিযোগ উঠেছিল তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে।”  তিনি বলেন, “বিশ্বের প্রতিটি দেশের কাছে বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে তারা আত্মনির্ভরশীল। বাংলাদেশের মানুষজনের জন্য তা সম্ভব হয়েছে। তাঁদের আমি স্যালুট জানাই।”

আরও পড়ুন: ‘পুরুষরা খেতে আসুন’, রেস্তোরাঁর বিজ্ঞাপনে ‘গাঙ্গুবাই’! বিতর্কের ঝড় পাকিস্তানে

হাসিনা বলেন , “এই সেতু শুধু ইট-সিমেন্ট-স্টিল-লোহার কংক্রিটের একটি অবকাঠামো নয়, এ সেতু আমাদের অহঙ্কার, আমাদের গর্ব, আমাদের সক্ষমতা, আর মর্যাদার প্রতীক। এ সেতু বাংলাদেশের জনগণের। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের আবেগ, আমাদের সৃজনশীলতা, আমাদের সাহসিকতা, সহনশীলতা আর জেদ।“ পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলে দেশের অর্থব্যবস্থার উন্নতি হবে বলেও জানান তিনি। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশের মর্যাদা পাবে, এদিন এই অঙ্গীকার করেন শেখ হাসিনা।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্মারক ডাকটিকিট এবং ১০০ টাকার স্মারক নোট প্রকাশ করা হল। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে পদ্মা সেতুর রেপ্লিকা তুলে দেওয়া হল। যা চিনা নির্মাণকারী সংস্থা দিল।উল্লেখ্য,পদ্মা সেতুর নির্মাণে মোট ৩০,১৯৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে (বাংলাদেশি মুদ্রায়)। গত ১৪ জুন একসঙ্গে পদ্মা সেতুর সব ল্যাম্পপোস্ট জ্বালানো হয়। আজ সেই সেতুর উদ্বোধন করা হচ্ছে। রবিবার জনসাধারণের জন্য সেই সেতু খুলে দেওয়া হবে। ঢাকা বিভাগের ছয় জেলা এবং বরিশাল ও খুলনা বিভাগের ১৬ জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে।

আরও পড়ুন: Abortion: গর্ভপাত আর সাংবিধানিক অধিকার নয়, রায় দিল আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট

Exit mobile version