Site icon The News Nest

High Madrasah Exam: রুমানার পর সারিফা, মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষাতেও প্রথম মুর্শিদাবাদের ছাত্রী

sarifa

উচ্চ মাধ্যমিকে সাফল্যের পর হাই মাদ্রাসাতেও প্রথম হলেন মুর্শিদাবাদের পড়ুয়া। রাজ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেলেন জঙ্গিপুর মুনিরিয়া গার্লস হাই মাদ্রাসার ছাত্রী সারিফা খাতুন। পরীক্ষায় ৮০০ নম্বরের মধ্যে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৭৯৫।

তার এই সাফল্যে খুশি জঙ্গিপুরের বাসিন্দাদের পাশাপাশি জেলাবাসী । বাবা মাসিউল শেখ রাজমিস্ত্রী।  পরিযায়ী শ্রমিক মাসিরুলের এক মেয়ে কলেজে পড়েন। আর এক মেয়ে হাই মাদ্রাসার পরীক্ষায় প্রথম। নুন আনতে পান্তা ফুরানো সংসারে দারিদ্রকে সঙ্গী করে পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন সারিফা। পড়াশোনায় বরাবর মেধাবী তিনি। সারিফা জানায়, ভাল ফলের আশা ছিল। আশা করেছিলাম ৭৬০-৭৭০ পাব। তবে এত ভালো ফল আশা করি নি। প্রথম হতে পেরে ভাল লাগছে। আগামীতে ইংরাজিতে অনার্স করে স্কুল শিক্ষিকা হতে চায় এই কৃতী ছাত্রী। প্রসঙ্গত, করোনার জেরে এবার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের মতোই এই পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছিল। পাশের হার এবার ১০০ শতাংশ।

আরও পড়ুন: সমস্যা নেই স্নাতক স্তরে, UGC-র নির্দেশিকায় প্রশ্ন বাংলায় স্নাতকোত্তরে ভরতি নিয়ে

মা মানোয়ারা বিবি বলেন, ‘‘ছোট থেকেই পড়াশোনা নিয়ে থাকত ও। নিজের ইচ্ছামতো পড়াশোনা করত। রাজ্যের মধ্যে প্রথম হয়েছে আমার মেয়ে। আমি খুব খুশি।’’ বাবা মাসিউল শেখ বলেন,  তিনি বলেন, ‘‘আমার মেয়ের এই সাফল্যে খুব খুশি। আমি দরিদ্র মানুষ। রাজমিস্ত্রির কাজ করি।। মেয়ে এমন সাফল্য পাবে, ভাবিনি।’’

বৃহস্পতিবার প্রকাশ হয় উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল।  সেখানে মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেন মুর্শিদাবাদের ছাত্রী রুমানা সুলতানা। মাধ্যমিকেও সে প্রথম দশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছিল। ৬৮৭ নম্বর পেয়ে মেধা তালিকায় পঞ্চম স্থান অধিকার করেছিলেন। রুমানার বাবা মা দুই জনেই শিক্ষক। জানা গিয়েছে, পড়াশোনায় বরাবর ভাল রুমানা। স্কুলের পরীক্ষায় প্রতি বছর প্রথম হতেন। উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার জন্য ভালো প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু করোনা আবহে পরীক্ষা না হওয়ায় কিছুটা হলেও হতাশ ছিল তাঁর মনে।

আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের পর এবার রাজ্যে Madrasa, হাই-মাদ্রাসাতেও ১০০% পাশ, উচ্ছ্বসিত পরীক্ষার্থীরা

Exit mobile version