Site icon The News Nest

লকডাউন শর্ত মানতেই হবে, রাজ্যগুলোকে কড়া বার্তা কেন্দ্রের, আলাদা সতর্কতা কেরলকে

নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের নির্ধারণ করা লকডাউন সংক্রান্ত শর্তগুলোর বাইরে গিয়ে নিজেদের শর্তের তালিকা তৈরি করছে বেশ কিছু রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। এমন অভিযোগ ওঠার পরই তাদের চিঠি দিয়ে কড়া বার্তা দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

২০ এপ্রিল থেকেই বিশেষ কয়েকটি ক্ষেত্রকে লকডাউনের আওতা থেকে ছাড় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু কেন্দ্র অনুমোদিত ক্ষেত্র ছাড়া অন্য কোনও কিছু লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা যাবে না বলে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি দিয়ে জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যগুলি চাইলে কড়াকড়ি আরও বাড়াতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা রবিবার এক চিঠিতে জানিয়েছেন, কিছু রাজ্য নিজের মতো করে অত্যাবশ্যকীয় কাজকর্মের তালিকা তৈরি করছে এবং বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দিচ্ছে। এটা কোনও ভাবেই হতে দেওয়া যাবে না। ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে দেশ জুড়ে লকডাউন সংক্রান্ত যে নিয়ম নির্ধারণ করা হয়েছে, তা যেন কোনও ভাবেই শিথিল না করা হয়। বরং কড়াকড়ি ভাবে সেগুলো প্রয়োগ করুক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলো। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ওই চিঠিতে আরও  বলা হয়েছে, ‘ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট, ২০০৫ অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক যে গাইডলাইন তৈরি করেছে, দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তার বাইরেও নিজের মতো করে কাজকর্ম করছে।’

আরও পড়ুন:  কলকাতা-সহ ৭ জেলার অবস্থা ‘গুরুতর’, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে কেন্দ্র

অন্য একটি চিঠিতে আলাদা করে সতর্ক করা হয়েছে কেরলকে। সোমবার থেকেও সে রাজ্যের কোনও কোনও অঞ্চলে বইয়ের দোকান, রেস্তোঁরা এবং সেলুন খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এটি কোনও ভাবেই করা যাবে না বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।চিঠিতে বলা হয়েছে, পিনারাই বিজয়নের সরকার রাজ্যে যে সব ক্ষেত্রে ছাড় ঘোষণা করেছে, তা কেন্দ্রের নিয়মকে লঙ্ঘন করেছে। সেখানে দু’টি জোনে ছাড় ঘোষণা করেছে। জোড়-বিজোড় ভিত্তিতে প্রাইভেট গাড়ি চলাচলে ছাড় দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, হোটেলগুলোর পরিষেবাতেও ছাড় দেওয়া হয়েছে।

যদিও কেরল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের চিঠির প্রেক্ষিতে তারা জানিয়েছে, কোনও ভাবেই কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া নিয়ম লঙ্ঘন করেনি তারা। রাজ্যের মন্ত্রী কাদাকামপল্লী সুরেন্দ্রন বলেন, “আমরা কেন্দ্রের নির্দেশ মেনেই লকডাউনে ছাড় দিয়েছি। কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা কেন্দ্রকে ব্যাখ্যা দেব। আশা করি বিষয়টা মিটে যাবে।”

আরও পড়ুন:  মহারাষ্ট্রে সংক্রমিত ৪ হাজারের বেশি,দেশে করোনায় আক্রান্ত ১৭২৬৫

Exit mobile version