Site icon The News Nest

এখনও সজাগ নয় জনতা, ভয় দেখাতে পথে নেমেছে করোনা ভাইরাস!

corona helmet

চেন্নাই:  সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। তবু যেন যেন ঘুমোচ্ছে জনগণ। দেশ এবং দেশবাসীকে সজাগ করতে তাই এবার আরও অভিনয় উপায় খুঁজে বের করল চেন্নাই প্রশাসন। মাথায় করোনা হেলমেট (corona helmet) পরে লকডাউনে পথে নামলেন পুলিশ অফিসার।

আরও পড়ুন: Corona Updates: হাজার ছুঁতে চলল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, দেশে মৃত্যু ২৫ জনের

লকডাউনে রাস্তায় না বেরনোর জন্য সকলের কাছে আবেদন রেখেছে সরকার৷ বারংবার একই কথা ঘোষণা করা হচ্ছে৷ অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে না যাওয়ার বার্তা দিচ্ছেন নেতা-মন্ত্রী, তারকা৷ কিন্তু তারপর মানুষ রাস্তায় নামছে৷ এবার তাদেরকে সাবধান করতে করোনার মতো ডিজাইন করা হেলমেট মাথায় তুলে নিল পুলিশ! সরকারি নির্দেশ না মেনে রাস্তায় বেরোলে এই ভাইরাসই চেপে বসবে শরীরে, পথে নেমে আতঙ্কিত মানুষকে এইভাবেই বার্তা দিলেন চেন্নাইয়ের পুলিশ কর্তা রাজেশ বাবু।

২১ দিনের লকডাউনে থমকে গেছে দেশ। রাস্তাঘাটে কড়া নজর রাখছেন পুলিশ কর্মী, সিভিক ভল্যান্টিয়াররা। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া রাস্তায় নামতে দেখলেই উড়ে আসছে কড়া ধমক, কোথাও আবার লোকজনকে কান ধরে ওঠবোস করাতেও দেখা গেছে পুলিশকর্মীদের। তবে ব্যতিক্রমও চোখে পড়েছে। কোথাও গান গেয়ে, ফুল দিয়েও সচেতনতার কথা বলেছেন পুলিশকর্মীরা। এই ব্যতিক্রমদের মাঝেই নজির গড়েছেন রাজেশ বাবু।

আরও পড়ুন: করোনা গ্রাসে বিশ্ব: সংক্রমণের সংখ্যা সাড়ে ৬ লক্ষ, মৃত্যু ছাড়াল ৩০ হাজার

শুধুমাত্র ধমকধামকে কাজ হবে না এটা বেশ বুঝেছেন তিনি। বলেছেন, কিছু অন্যরকম করে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছেন। মানুষ আতঙ্কিত, তার উপরে ঘরবন্দি হয়ে থেকে আরও বিপর্যস্ত। এই সময় বকাঝকার থেকে আনন্দ দিয়ে সচেতনতার কথা বললে কাজ হবে অনেক বেশি। পুলিশ কর্তার কথায়, এই অন্যরকম ভাবতে গিয়েই করোনা হেলমেটের কথা মাথায় আসে তাঁর। ভাঙা হেলমেট একটা ছিলই। তার উপরেই রঙিন কাগজ সেঁটে ঠিক ছবিতে দেখা করোনাভাইরাসের আদল দিয়েছেন। নানা রঙের কাগজের সেই হেলমেট দেখতেও বেশ ভয়ঙ্কর। সেটা মাথায় চাপিয়েই রাস্তায় নামেন তিনি। এই ভাইরাস কী, কীভাবে ছড়াতে পারে, ঘরবন্দি না থাকলে কতটা বিপদ হতে পারে, চেন্নাইয়ের রাস্তায় রাস্তায় এখন এটাই বোঝাচ্ছেন রাজেশ বাবু। সঙ্গে হাতে লেখা প্ল্যাকার্ডও বিলি করছেন। বাকি পুলিশকর্মীদেরও এইভাবে মানুষকে বোঝানোর পরামর্শ দিচ্ছেন।

হেলমেট ভেল্কি দেখাতে শুরু করে দিয়েছে। রাজেশ বাবু বলেছেন, হেলমেট নয় আসলে ভাইরাসের চেহারাটা মানুষের মনে গেঁথে যাবে। কাজ হবে এভাবেই। ছোট বাচ্চারা এই করোনা-হেলমেট দেখে নাকি বেশ ভয় পেয়েছে। তারা আর বাড়ির বাইরে বেরতে চাইছে না। বাচ্চারা শুধু নয়, প্রাপ্তবয়স্করাও যাতে এর গুরুত্ব বুঝতে পারেন সেটাই চেষ্টা করে চলেছেন রাজেশ বাবু।

আরও পড়ুন: Live: করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রথম ‘মন কি বাত’ প্রধানমন্ত্রীর

Exit mobile version