নয়াদিল্লি: শনিবারই দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা নশো পেরিয়ে গিয়েছিল। রবিবার তা পৌঁছে গেল হাজারের কাছাকাছি। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ৯৮০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের। শনিবার থেকে এ দিন সকাল পর্যন্ত, এক দিনে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ১৮।
আরও পড়ুন:বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা, ট্রেনের কামরাতে আইসোলেশন ওয়ার্ড বানাল রেল
এই মুহূর্তে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। সেখানে মোট ১৮৫ জন করোনায় সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। ওই রাজ্যে মৃত্যুও হয়েছে ছ’জনের। তবে সুস্থও হয়ে উঠেছেন ২৫ জন। আক্রান্তের সংখ্যা, মৃত্যু এবং সুস্থ হয়ে ওঠা সব দিক থেকেই প্রথম সারিতে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সংক্রমণের সংখ্যার দিক থেকে মহারাষ্ট্রের চেয়ে সামান্য পিছিয়ে কেরল। সেখানে করোনা রোগীর সংখ্যা এই মুহূর্তে ১৮২ জন। তৃতীয় স্থানে থাকলেও, কর্নাটকে এখনও সংখ্যাটা অবশ্য দুই অঙ্কেই আটকে রয়েছে। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৬ জন।
আরও পড়ুন: Live: করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রথম ‘মন কি বাত’ প্রধানমন্ত্রীর
গত দু’দিনে বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া ১০ থেকে বেড়ে ১৮। শনিবারও করোনা ভাইরাসের ইতিবাচক উপস্থিতি পাওয়া গেল রাজ্যের দুই মহিলার দেহে। এগরার একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন দুই মহিলা। জানা গিয়েছে, নয়াবাদের করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধের আত্মীয় এই দুই মহিলা। মারণ ভাইরাস ধরা পড়েছে কালিম্পংয়ের এক মহিলার শরীরেও। নদিয়ার তেহট্ট থেকে করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়া ৫ জনের কেউই নদিয়া তথা রাজ্যেরই বাসিন্দা নন বলে পরিষ্কার জানিয়ে দেয় স্বাস্থ্য দপ্তর। ওই পাঁচজন ভর্তি বেলেঘাটা আইডিতে। কোয়ারেন্টাইনে আরও ৮। তেহট্টের মানুষের আতঙ্ক দূরীকরণে স্প্রিংকলার গাড়ি ও হ্যান্ড মেশিন পাঠাচ্ছে কলকাতা পুরসভা।যা দিয়ে এলাকা জীবাণুমুক্ত করা হবে।
তবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইও জারি রয়েছে। গোটা দেশে ইতিমধ্যে মোট ৮৭ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
আরও পড়ুন: দিল্লি থেকে মধ্যপ্রদেশের বাড়িতে ফেরার চেষ্টা, ২০০ কিমি হেঁটে রাস্তাতেই মৃত্যু রেস্তরাঁ কর্মীর