Site icon The News Nest

কেরলে ৩ বছরের শিশুর দেহে মিলল ভাইরাস, দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪৩

DELHI CORONAVIRUS

নয়াদিল্লি: নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হল কেরালার তিনের শিশুকন্যা। পাশাপাশি, জম্মু ও কাশ্মীরের ২ বাসিন্দার শরীরেও মিলল সংক্রমণের প্রমাণ। সব মিলিয়ে বর্তমানে ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩।

চিন থেকে ছড়িয়ে পড়া মারাত্মক করোনাভাইরাস সংক্রমণের শিকার কাশ্মীর থেকে কেরালা। সোমবার পাঠনমথিট্টা জেলায় ওই শিশুকন্যার দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন এরনাকুলমের জেলাশাসক এস সুহাস। তবে তিনি জানিয়েছেন, ‘হাসপাতালে ভরতি শিশুটির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। আতঙ্কের প্রয়োজন নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

আরও পড়ুন: করোনার কবলে আমেরিকা! মৃত বেড়ে ১৯, নিউ ইয়র্কে জরুরি অবস্থা জারি

জানা গিয়েছে, গত ৭ মার্চ ইতালি থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে দুবাই হয়ে দেশে ফিরেছিল শিশুটি। তাদের সঙ্গেই ভারতে ফেরেন আরও ৯ জন। বিমানবন্দর থেকেই শিশুটির দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়। সেি সঙ্গে এমিরেটস বিমানের অন্যান্য যাত্রীদের নমুনার রিপোর্টও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপর কড়া নজরদারির উদ্দেশে কোচিতে দিন-রাতের কপন্ট্রোল রুম খুলেছে প্রশাসন। সেথানে অবিলম্বে হাজিরা দিতে দুবাই থেকে আসা বিমানের সমস্ত যাত্রী ও কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন জেসাশাসক এস সুহাস। শিশুকন্যাকে নিয়ে কেরালায় করোনাভাইরাসের শিকার হলেন ৬ জন।

অন্য দিকে, রবিবার জম্মু ও কাশ্মীরের এক যুবকের শরীরে মারাত্মক এই চিনা ভাইরাসের উপস্থিতি মেলার পরে সোমবার কার্গিলবাসী ৬৩ বছরের এক বৃদ্ধার দেহেও সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। ওই বৃদ্ধা কিছু দিন আগে ইরান থেকে ফিরেছেন বলা জানা গিয়েছে। দুই রোগাীকেই হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। আপাতত তাঁরা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: আতঙ্কিত হবে না, জেনে নিন করোনা ভাইরাস আর সাধারণ জ্বরের মধ্যে পার্থক্য

অন্য দিকে, রবিবারই পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের আইসোলেশন ওয়ার্ডে বছর তেত্রিশের এক যুবকের মৃত্যু হয়। তার এক দিন আগেই সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরেন জিনারুল হক নামের ওই যুবক। ডায়াবিটিস মেলিটাসে আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি জ্বর, হাঁচি-কাশি এবং শ্বাসকষ্টের লক্ষণ থাকায় আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।তবে জিনারুল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি বলে জানা গিয়েছে। তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সোমবার সেই রিপোর্সেট সামনে আসেছে। তাতে জিনারুলের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মেলেনি।

জিনারুলের মতোই জ্বর, হাঁচি-কাশির লক্ষণ নিয়ে লাদাখের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মহম্মদ আলি নামের ৭৬ বছরের এক বৃদ্ধ। প্রাক্তন পুলিশকর্মী মহম্মদ আলি সম্প্রতি ইরান থেকে দেশে ফেরেন। শনিবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। রবিবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। যদিও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে কি না, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মূত্রনালীতে সংক্রমণ ধরা পড়ে ওই ব্যক্তির। তবে যে ইয়াউকুমা চোচুক গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন ওই ব্যক্তি, সেখান থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

দেশ জুড়ে এমন পরিস্থিতিতে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সমস্ত বন্দরে যাত্রিবাহী বিদেশি জাহাজের আনাগোনা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

 

 

Exit mobile version