মাদ্রিদ: করোনার প্রকোপে এ বার শোকের ছায়া নামল স্পেনের ‘পারমা-বারবন’ রাজপরিবারে। কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল রাজকুমারী মারিয়া টেরেসার। বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। নোভেল করোনার জেরে এই প্রথম কোনও রাজপরিবারের সদস্যের প্রাণ গেল।
ফেসবুকে মারিয়া টেরেসোর মৃত্যুর কথা ঘোষণা করেন তাঁর ভাই প্রিন্স সিক্সতো এনরিকে ডি বারবন, ডিউক অব আরানজুয়েজ। তিনি জানান, সম্প্রতি মারিয়া টেরেসার শরীরে কোভিড-১৯ ভাইরাস ধরা পড়ে। সেই অবস্থায় শুক্রবার প্যারিসে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। শুক্রবার মাদ্রিদে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন: রাস্তায় নেমে করোনা প্রতিরোধ বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারের, কুর্নিশ বিশ্ববাসীর
স্পেনের অবস্থা এই মুহূর্তে ভয়াবহ। দেশে ইতিমধ্যে করোনার বলি হয়েছেন ৫ হাজার ৬৯০ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭২ হাজার। ভেঙে পড়েছে স্পেনের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, সুরক্ষা ও সতর্কতা সত্ত্বেও করোনা ঢুকে পড়ে রাজবাড়ির অন্দরে। আক্রান্ত হন বছর ছিয়াশির স্প্যানিশ রাজকন্যা মারিয়া টেরেসা। বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি।স্পেনের রাজা ফিলিপ ষষ্ঠেরও করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়েছিল৷ যদিও পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে৷ রাজকুমারী মারিয়া ফ্রান্সেই পড়াশোনা করেছেন৷ প্যারিসেই তিনি অধ্যাপনা করতেন৷ মাদ্রিদের একটি বিশ্ববিদ্যালয়েও সমাজতত্ত্ব নিয়ে পড়াতেন তিনি৷ তিনি সমাজসেবার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন৷ বরাবরই চাঁচাছোলা কথা বলতে ভালবাসতেন৷ সেই কারণ ‘রেড প্রিন্সেস’ নামে জনপ্রিয় ছিলেন তিনি
আরও পড়ুন: লকডাউনের সময় এক ছাদের তলায় রণবীর-আলিয়া, ফাঁস হল ভিডিয়ো
স্পেনের পাশাপাশি ব্রিটিশ রাজপরিবারেও থাবা বসিয়েছে করোনা। মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রিন্স চার্লস। রাজপরিবারের মুখপাত্র জানান, গত কয়েকদিন ধরে বাড়ি থেকেই কাজকর্ম করছিলেন প্রিন্স। করোনার সামান্য উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। কিন্তু শরীর মোটামুটি সুস্থই ছিল। তবে পরীক্ষার পর তাঁর শরীরে ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যায়। আপাতত স্কটল্যান্ডে সেল্ফ আইসোলেশনে রয়েছেন চার্লস এবং তাঁর স্ত্রী তথা ডাচেস অফ কর্নওয়াল ক্যামিলা। তাঁর স্ত্রীয়ের শরীরে যদিও করোনার জীবাণু পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: এক্কেবারে বাথটাব থেকে ছবি পোস্ট, করোনাতঙ্কের মধ্যে হট ছবি পোস্ট করলেন প্রিয়াঙ্কা সরকার