Site icon The News Nest

দেশে ১৭০ জেলা হটস্পট, রাজ্যের ১১ জেলায় করোনার দাপট

sani

নয়াদিল্লি: আগেই জানানো হয়েছিল, দেশের ১৭০টি জেলা হটস্পট। এবার সেই জেলার তালিকা প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

আরও পড়ুন: করোনা চিকিৎসায় ধর্মের বিভাজন! আহমেদাবাদে হিন্দু- মুসলিমদের জন্য পৃথক ওয়ার্ড

সব রাজ্যের মুখ্যসচিবদের লেখা সেই চিঠিতে জানানো হয়েছে, দেশের জেলাগুলিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে – হটস্পট (লাল জোন), নন-হটস্পট ও অসংক্রামিত জেলা (সবুজ জোন)। হটস্পটকে আরও দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একটি হল – যেখানে ব্যাপক আকারে করোনা ছড়িয়েছে (লার্জ আউটব্রেক)। সেই তালিকায় রয়েছে ১২৩ টি জেলা। অপরটি হল – যেখানে ক্লাস্টারে ছড়িয়েছে অর্থাৎ যে জেলার ক্ষেত্র বিশেষে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে ৪৭ টি। এছাড়া নন-স্পট তালিকায় রয়েছে ২০৭ টি জেলা। সবুজ জোনে দেশের বাকি জেলাগুলি।

দেশের মধ্যে তামিলনাডু়তে সবথেকে বেশি জেলায় ব্যাপক আকারে করোনা ছড়িয়েছে অর্থাৎ লার্জ আউটব্রেক হয়েছে। সেখানে ২২টি জেলায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা। মহারাষ্ট্রে দেশের মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। সেখানে কয়েকটি অঞ্চলের মধ্যে করোনার ব্যাপক প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। মহারাষ্ট্রের ১১ টি জেলা লার্জ আউটব্রেকের তালিকায় রয়েছে। রাজস্থান ও অন্ধ্রপ্রদেশের ১১টি জেলায় করোনার প্রভাব ভয়াবহ। দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশের ন’টি করে জেলা, তেলাঙ্গানার আটটি জেলা, কেরালা এবং জম্মু ও কাশ্মীরে ছ’টি করে জেলায় করোনার সংক্রমণের প্রভাব সর্বাধিক। গুজরাত, হরিয়ানা, কর্নাটক, পঞ্জাবে লার্জ আউটব্রেক জেলার সংখ্যা যথাক্রমে পাঁচ, চার, তিন ও চার।

আরও পড়ুন: ২০ এপ্রিল থেকে কোন কোন ক্ষেত্রে ছাড়, নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়ে দিল কেন্দ্র

বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক প্রকাশিত তালিকায় হটস্পট বিভাগে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মোট ৪টি জেলা।রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর ও উত্তর ২৪ পরগণা। আরও সাত জেলাকে ক্লাস্টার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই জেলাগুলিতে তুলনায় কম সংক্রমণের হার রয়েছে এবং সেখানে সম্প্রতি নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি।এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি, হুগলি, নদিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও দার্জিলিং।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, হটস্পটগুলিতে আগামী ২৮ দিন বিধিনিষেধ জারি থাকবে। যতদিন না জেলার সমস্ত রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন, কিংবা নতুন কোনও সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। কোন অঞ্চলে ভাইরাস সংক্রমণ বাড়ছে, সে ব্যাপারে রাজ্য প্রশাসনকে রিপোর্ট তৈরি রাখতে হবে। তার উপর ভিত্তি করে হটস্পটের তালিকা পরে বদল করা হতে পারে।

আরও পড়ুন: Lockdown 2.0: কী নিষিদ্ধ?একনজরে দেখুন কেন্দ্রের নির্দেশিকা

Exit mobile version