Site icon The News Nest

বিমান ওড়ানোর স্বপ্ন দু’চোখে?? জেনে নিন পাইলট হওয়ার পদ্ধতি

saudipilots

আপনার বা আপনার সন্তানের মনের মধ্যে এই পাইলট হওয়ার স্বপ্ন থাকে, তাহলে স্কুল জীবন থেকেই সেই প্রস্তুতি শুরু করে দিন। পাইলট হিসেবে নিজের কেরিয়ার গড়ে তোলার জন্য ভৌত বিজ্ঞান এবং অঙ্ক নিয়ে বাধ্যতামূলক ভাবেই পড়াশোনা করতে হবে পড়ুয়াদের। এই দুই বিষয় নিয়ে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় পাশ করার পর আপনার সামনে পাইলট হওয়া আরও কিছুটা সহজ হয়ে যাবে।

সাধারনত দুই ধরণের পাইলট থাকেন। প্রথম ধরণের পাইলট যারা যাত্রীবাহী বিমান চালান। তাঁদের কমার্শিয়াল পাইলট বলা হয়। কোনও বিমান সংস্থার প্লেন চালান এই সকল পাইলটরা। সার্টিফিকেট, কাজের অভিজ্ঞতা সহ আরও অন্যান্য বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এই পাইলটদের বাছাই করা হয়। ডিরেক্টোরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশনের তরফে এই পাইলটদের লাইসেন্স প্রদান করা হয়।

আরও পড়ুন: GOVT Job: সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কে ম্যানেজার পদে নিয়োগ শুরু, আজই আবেদন করুন

বেতন
সাধারণত কর্মাশিয়াল পাইলটদের গড় বেতন দুই থেকে ৫ লাখ টাকা। এছাড়াও, প্রতিটি সংস্থার তরফে বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধেও প্রদান করা হয় এই পাইলটদের।

শিক্ষাগত যোগ্যতা
পাইলট হওয়ার জন্য প্রথমেই দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার অঙ্ক, ভৌতবিজ্ঞান ও রসায়ন নিয়ে পাশ করে থাকতে হবে প্রার্থীদের। যদি তা না থাকে সেক্ষেত্রে প্রাইভেট বা ওপেন স্কুলিং-এর মাধ্যমে এই বিষয়গুলিতে পাশ করতে পারবেন প্রার্থীরা। অন্তত ৫০ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করতে হবে পড়ুয়াদের। কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্সের জন্য অন্তত ১৮ বছর বয়স হওয়া আবশ্যক।

এরপর, DGCA অনুমোদিত কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হবে প্রার্থীদের। ভর্তি হওয়ার জন্য একটি প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করতে হবে পড়ুয়াদের। এই কোর্স করে তাতে পাশ করলে তবেই মিলবে প্লেন ওড়ানোর লাইসেন্স।

এছাড়াও, ভারতীয় বায়ুসেনার মাধ্যমেও পাইলট হতে পারবেন প্রার্থীরা। যদি আপনি ভারতীয় বায়ুসেনায় পাইলট হিসেবে যোগদান করেন, সেক্ষেত্রে আপনি শুধু দেশের সেবা করতে পারবেন এমনটা নয়, বায়ুসেনার তরফেই আপনার প্রশিক্ষণের সব ব্যবস্থা করা হবে। তবে তাঁর জন্য অবশ্যই লিখিত প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করতে হবে প্রার্থীদের। তবেই মিলবে ভারতীয় বায়ুসেনার প্লেন ওড়ানোর সুযোগ।

আরও পড়ুন: RBI দপ্তরে ৯৫০ অ্যাসিস্ট্যান্ট, কী কী যোগ্যতা থাকলে আবেদন?

Exit mobile version