Site icon The News Nest

Bandish Bandits Review: গান পাগল হলে এই সিরিজ আপনার জন্যই, দেখুন ভিডিও…

BANDISH

ফিরে এলাম নতুন এক ওয়েব সিরিজের রিভিউ নিয়ে। ৪ অগাস্ট আমাজন প্রাইম -এ মুক্তি পেয়েছে ‘বন্দিশ ব্যান্ডিটস’ . ১০ পর্বের এই সিরিজের মধ্যমে ওয়েব দুনিয়াতে পা রেখেছেন সুরকার শঙ্কর-এহসান-লয়। এক- একটি পর্ব ৪০-৪৫ মিনিটের। রোমান্টিক সংগীতবহুল নাটকে অভিনয় করেছেন, ঋত্বিক ভৌমিক ও শ্রেয়া চৌধুরী, নাসিরুদ্দিন শাহ, অতুল কুলকার্ণি, শিবা চাড্ডা, কুণাল রায় কাপুর এবং রাজেশ তৈলং।আর পরিচালক ‘লভ পার স্কোয়ার ফিট’ -এর আনন্দ তিওয়ারি।

এবার আসা যাক গল্পে। প্রথম দৃশ্যে দেখা যায় গল্পের হিরো রাধে, একটা কঠিন রাগ গাওয়া নিয়ে চাপে পড়েছে। কাহিনী যত এগোতে থাকে সেই সমস্যা গল্পের ঘাড়ের উপর চেপে বসে।পরে রাধে ঠিক রাগ রাগিনী গাইতে পারলেও গল্পের খেই কোথাও যেন হারিয়ে যায়।

রাজস্থানের অপূর্ব সৌন্দর্য, ভালো অভিনেতাদের সমাহার আর খুব ভালো গানের ব্যবহার – মূলত এই তিনটি কারণে আপনি এই ওয়েব সিরিজটি দেখতে পারেন। নাহলে বাকিটা সেই একই গল্প। ভারতীয় শাস্ত্রীয়সংগীত ও পাশ্চাত্য সংগীতের লড়াই, কিছু লোভী মানুষের ঘোরাফেরা,
তরুণ শিল্পী, যে শুন্য থেকে শুরু করে জীবন, পরে সে সাফল্য পায়। বিপরীত গুন্ আকর্ষণ করে সেই ফর্মুলা মেলে প্রেম – কোনো কিছুই নতুন নয়।

আরও পড়ুন: আগামিকাল বিয়ের পিঁড়িতে ‘বল্লালদেব’, দেখে নেন রাণা দুগ্গুবাতি ও তারঁ হবু কনের মেহেন্দির সাজ…

অথচ গল্পের শুরুটা বেশ ভালো। পণ্ডিত রাধামোহন রাঠোড়, যিনি সংগীত সম্রাট রূপে পরিচিত, থাকেন যোধপুরে।প্রতিদিন সকালে একদল ছেলেমেয়েকে উচাঙ্গ সংগীত সেখান তিনি, সেই দলের মধ্যে তাঁর নাতি রাধে ও আছে। অন্যদিকে, এসবের থেকে অনেক দূরে থাকে তামান্না। ইন্টারনেট সেনসেশন যে স্বপ্ন দেখে আন্তর্জাতিক পপ তারকা এলি- র সঙ্গে স্টেজ শেয়ার করা। আর তার জন্য তামান্নার প্রয়োজন একটা গান – যা ম্যাসিভ হিট হবে। কিন্তু সময় পেরিয়ে যাচ্ছে, অথচ সেই গান অধরা তাঁর।

এরপর গল্প গোড়ায় যোধপুরের দিকে। বাবার সঙ্গে যোধপুরে গিয়ে তামান্নার দেখা হয়ে যায় রাধের সঙ্গে। বলিউডি প্রথা মেনে প্রথমে ঝগড়া, পরে বন্ধুত্ব। রাধের গানের গলা শুনে আপ্লুত তামান্না তাঁর সঙ্গে গান গাওয়ার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু দাদু দুঃখ পাবে ভেবে রাধে প্রথমে সেই প্রতাব ফিরিয়ে দেয়। কিন্তু পরে একটা অবাস্তব বুদ্ধি বের করে দুজনে মিলে।

রাধে আর তামান্নার গল্পটাকে অনেক ভাবে আকর্ষণীয় করার চেষ্টা হয়েছে বটে, কিন্তু সবটা যেন দরকাছরা পাকিয়ে গিয়েছে। শুধু দুটো জিনিস এই সিরিজকে রক্ষা করেছে অনেকটাই। আরমান মালিক, জোনীতা গান্ধী, জাভেদ আলী, শঙ্কর মহাদেবন, মেমে খান আর সব শেষে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী- গল্প যতই বোর লাগুক, গান আপনার মন জুড়িয়ে দেবে। ভারতীয শাস্ত্রীয় সংগীতের সঙ্গে পপের ফিউসন – আপনার কানকে আরাম দেবে- একথা বুক ঠুকে বলতে পারি। বলা যেতে পারে গান -ই হল এই ওয়েব সিরিজের মূল ও একমাত্র প্রধান চরিত্র।

আর দ্বিতীয বস্তুটি হল অভিনয়।প্রত্যেকের অভিনয় যথাযত। এতটাই ভালো যে, গল্প তা খারাপ হলেও শেষ পর্যন্ত আপনাকে ধরে রাখে। তবে একথা বলা যায় যে, ডার্ক, মার্ডার মিস্ট্রি হাওয়ার মাঝে ‘বন্দিশ ব্যান্ডিটস’ টাটকা হাওয়ার মতো। এখন বেশির ভাগ ওয়েব সিরিজেরই কালো, ধূসর রঙের আধিপত্য। কিন্তু যোধপুরের রং, বড়ো হাভেলি, ফোর্ট – এসব আপনাকে মুক্তি দেবে নেগেটিভিটি থেকে।

আরও পড়ুন: Class of 83 trailer: পুলিশের ‘সত্যিকারের’ এনকাউন্টারের গল্প, প্রথমবার ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ববি দেওল

 

 

Exit mobile version