Site icon The News Nest

সুশান্তকে খুনের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি: সিবিআই, ২ মাদক পাচারকারীকে হেফাজতে নিল NCB

সুশান্ত সিং রাজপুতকে (Sushant Singh Rajput) খুন করার কোনও প্রমাণ এখনও পর্যন্ত মেলেনি। এ অবধি যা তদন্ত হয়েছে, তাতে আত্মহত্যাই করেছিলেন অভিনেতা, ধারণা সুশান্ত মামলায় তদন্তকারী ৩ সিবিআই (CBI) অফিসারের। এক সর্বভারতীয় ইংরাজি সংবাদমাধ্যম এমন তথ্যই সামনে এনেছে।

সুশান্ত-কাণ্ডে সিবিআইয়েরতদন্তকারী দলের তিন সদস্য‘ইন্ডিয়া টুডে’-কে জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্তযা যা তথ্য তাঁদের হাতে এসেছে তাতে সুশান্তকে খুন করা হয়েছে, এমনটা বলা যাচ্ছে না। যদিও তাঁরা অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে সুশান্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে কিনা আপাতত সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে তারা।

অন্য দিকে,সিবিআইমঙ্গলবার সকালেই ডেকে পাঠায় এফআইআরে মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তীর বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী এবং মা সন্ধ্যা চক্রবর্তীকে। পটনায় সুশান্তের বাবার করা এফআইআরে নাম রয়েছে ইন্দ্রজিৎ এবং সন্ধ্যার।সুশান্তকে মানসিক অত্যাচার এবং অভিনেতার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছেতাঁদের বিরুদ্ধে। এই প্রথম রিয়ার বাবা- মায়ের ডাক পড়ল ডিআরডিও অফিসে।

আরও পড়ুন: আলোর পথের দিশারী প্রিয়াঙ্কা সরকার, পথশিশুদের হাতে তুলে দিলেন বই-খাতা

 

সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, পর পর চার দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর এ দিন ডাকা হয়নি রিয়া এবং তাঁর ভাই শৌভিককে। তবে তাঁদের ডাকা না হলেও সুশান্তের সহযোগী নীরজ সিংহ, বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি, পরিচারক কেশব এবং প্রাক্তন ম্যানেজার শ্রুতি মোদীকে আজও ডেকে পাঠায় সিবিআই। এরই সঙ্গে আজ ইডি’র দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হতে দেখা গিয়েছে হোটেল ব্যবসায়ী গৌরবকে। এই গৌরবের সঙ্গেই রিয়ার মাদক সংক্রান্ত চ্যাট কিছুদিন আগেই ফাঁস হয়েছিল। রিয়া এবং তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে গৌরবের কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কি না তা খতিয়ে দেখছে ইডি।

রিপাবলিক মিডিয়া সূত্রে খবর দু জন মাদক পাচারকারীকে ইতিমধ্যেই হেফাজতে নিয়েছে এনসিবি। রিয়া চক্রবর্তীর মাদক যোগের সূত্র ধরে এনসিবির নজরে রয়েছে চারজন হাই প্রোফাইল ব্যক্তিত্ব, যার মধ্যে রয়েছেন মহারাষ্ট্রের দুজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, একজন নামী অভিনেতা ও একজন পরিচালক। এই খবর প্রকাশ্যে আসবার কয়েকঘন্টার মধ্যেই এনসিবির জালে দুই মাদকচক্রীর ধরা পরবার কথা জানা গেল। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও ব্যক্তিদের নাম জানবার চেষ্টা করছেন এনসিবির আধিকারিকরা।

অন্যদিকে, যে হাসপাতালে সুশান্তের দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছিল সেই হাসপাতালকে শো-কজের চিঠি পাঠিয়েছিল মহারাষ্ট্রের মানবাধিকার কমিশন। সুশান্তের মৃত্যুর দিন কেন রিয়া চক্রবর্তীকে মর্গে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছিল সে বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শাতে বলে তারা। আজ বৃহন্মমুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন থেকে মানবাধিকার কমিশনকে জানানো হয়, তাদের পক্ষ থেকে হাসপাতালের মর্গে প্রবেশের জন্য রিয়াকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।

গত কয়েক দিন ধরেই রিয়া এবং সুশান্তের পরিবারের মধ্যে তিক্ততা চরমে পৌঁছেছে। সুশান্তের বাবা কখনও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, তাঁর সন্তানকে বিষ দিয়ে হত্যা করেছে রিয়া, আবার কখনও রিয়ার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সুশান্তের এক দিদি শ্বেতা। বিশেষ সূত্রে খবর, কোনও প্রমাণ ছাড়াই রিয়ার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সব কথা বলার জন্য সুশান্তের পরিবারের বিরুদ্ধে আইনি পথে হাঁটতে পারেন রিয়া। তাঁর আইনজীবী সতিশ মানশিন্ডের ইঙ্গিত তেমনটাই।

আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত মেক-আপ আর্টিস্ট, কোয়ারেন্টাইনে সোহিনী

Exit mobile version