Site icon The News Nest

জ্বলছে অরণ্য! এবার ভয়াবহ আগুনের গ্রাসে বাঁকুড়ার শুশুনিয়া জঙ্গল

15 1

বাঁকুড়া: বিগত কয়েকমাসে সারা পৃথিবী সাক্ষী থেকেছে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের। আমাজনে আগুন জ্বলেছে কয়েক মাস ধরে। বিপন্ন হয়েছে কয়েকশো প্রজাতির গাছ। মারা গেছে লক্ষ লক্ষ বন্যপ্রাণী। তাছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, চিন এবং আরও অনেক জায়গাতেই দাবানলে শেষ হয়ে গেছে বনভূমি। কিছুদিন আগেই জলদাপাড়াও শিকার হয়েছে অগ্নিকাণ্ডের। ছাই হয়ে গিয়েছিল ৭৫ একরের ঘাসজমি। এই সব ঘটনার কারণ খুঁজতে গিয়ে বার বার মানুষের দিকেই আঙুল উঠেছে। এবার আরও একটি ছবি চমকে দিল সকলকে। ছবিটি এই বাংলারই। বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়ের…

দাউ দাউ করে জ্বলছে বাঁকুড়ার শুশুনিয়া। এমন ছবি নিশ্চুপ করে দিয়েছে সবাইকে। দূর থেকে দেখা যাচ্ছে পাহাড়ের মাথায় আগুনের শিখা। পুড়ে যাচ্ছে অজস্র গাছ। চারিদিকে ভীত, সন্ত্রস্ত বন্যপ্রাণীদের আর্তনাদ। কিন্তু কীভাবে লাগল এই আগুন?

আরও পড়ুন: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার বলি ৩৫, মৃত বেড়ে ১৪৯! আক্রান্ত ৫১৯৪

জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই বাঁকুড়ার এই জঙ্গলে ধিক ধিক করে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে এর ভয়াবহতা আঁচ করতে পারেননি কেউই। বুধবার তা ভয়ঙ্কর আকার নেয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩ তারিখ থেকে আগুনের শিখা জঙ্গলে দেখা দিয়েছে। ৪ তারিখ গ্রামবাসীরা নিজেরাই চেষ্টা করছিলেন আগুন নেভানোর। তা খানিকটা আয়ত্তেও এনে ফেলেছিলেন তাঁরা। কিন্তু পরিস্থিতি যে হাতের বাইরে চলে গিয়েছে, তা বোঝা যায় বুধবার সকালে। এদিন ফের দাউ দাউ করে জঙ্গলে জ্বলে ওঠে আগুন।

পাহাড় জুড়ে শুকনো পাতায় আগুন ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুত। সে এক অদ্ভূত দৃশ্য়। পাহাড়ের কোলে লেলিহান শিখা- দেখার জন্য ভিড় জমাচ্ছে মানুষ। দূর থেকে যেন মনে হচ্ছে, জ্বলছে কোনও আগ্নেয়গিরি! দমকল আপ্রাণ চেষ্টা করছে আগুন নেভানোর। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও আশার আলো দেখা যায়নি। এবারও প্রচুর বন্যপ্রাণীর মৃত্যুর আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা। 

প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে কেউ ইচ্ছাকৃত আগুন ধরিয়েছে জঙ্গলের শুকনো পাতায়। সেই থেকেই এই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড। শুরু হয়েছে তদন্তও। তবে এবিষয়ে এখনও বনদপ্তরের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এই ঘটনায় আতঙ্কে স্থানীয়রা। জঙ্গলের আগুন যে কোনও মুহূর্তে তাঁদের বাসস্থানকে গ্রাস করতে পারে, এই আশঙ্কা তাঁদের।

আরও পড়ুন: ভুয়ো খবর ও গুজব রুখতে এবার আরও কড়া হোয়াটসঅ্যাপ, বেঁধে দেওয়া হল মেসেজ ফরোয়ার্ডের সীমা

Exit mobile version