Site icon The News Nest

সাংসদ পদে শপথ নিলেন রঞ্জন গগৈ, প্রতিবাদে ওয়াকআউট বিরোধীদের

rajyasabha wweb

নয়াদিল্লি: রাজ্যসভার সদস্যপদে শপথ নিলেন দেশের প্রাক্তন প্রধানবিচারপতি রঞ্জন গগৈ৷ বৃহস্পতিবার তাঁর শপথগ্রহণে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ বিতর্ক এবং বিরোধীদের প্রবল প্রতিবাদের মধ্যেই বৃহস্পতিবার শপথবাক্য পাঠ করেন তিনি।

তাঁকে সাংসদ করায় তীব্র বিরোধিতা করে ওয়াক আউট করে কংগ্রেস ও বহুজন সমাজ পার্টির সাংসদরা। প্রতিবাদে শামিল হয় বাম, ডিএমকে ও এমডিএমকে-ও। প্রাক্তন প্রধানবিচারপতি যখন শপথ নিচ্ছেন, কংগ্রেস তখন চেঁচাচ্ছে, ‘শেম’, ‘ডিল’৷ রাজ্যসভায় শপথ গ্রহণের আগে গগৈ বলেন, ‘সংসদে একজন স্বাধীন আওয়াজ তোলার শক্তি আমায় ঈশ্বর দিক৷’

আরও পড়ুন: স্নাতকোত্তরে এবার ‘খুশি থাকা’র কোর্স! জেনে নিন কোথায় পড়ানো হবে এই বিষয়

২০১৯ সালের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নেন রঞ্জন গগৈ। তার ঠিক চার মাসের মাথায় হত ১৬ মার্চ তাঁর নাম রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে মনোনীত করেন রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ। তার পর থেকেই এই নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। নিয়োগের বিরোধিতায় প্রশ্ন তুলছেন দেশের শীর্ষ আদালতে দীর্ঘদিন বিচারপতির দায়িত্ব পালন করা তাঁর প্রাক্তন সতীর্থরা৷ প্রশ্ন তুলছে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি৷ তারই মাঝে দেশের শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যসভায় তাঁকে মনোনয়ন দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে, তিনি তা স্বীকার করছেন৷ বলেছেন, ‘আমাকে শপথ নিতে দিন৷ শপথগ্রহণের পরেই বলব, সব কথা৷ কেন এই প্রস্তাব স্বীকার করেছি, বলব সে কথাও৷’ মঙ্গলবার গুয়াহাটিতে কামাখ্যা মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন তিনি৷ সেখানেই নিজের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ৷

আরও পড়ুন: করোনা: স্টেশনে ভিড় কমাতে পাঁচ গুণ বাড়াল প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দাম

 

 

 

 

 

সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রঞ্জন গগৈ কেন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাব গ্রহণ করে রাজ্যসভায় মনোনয়নের ক্ষেত্রে দু’বছর অপেক্ষা করলেন না? প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল৷ তাঁর এই মনোনয়ন দেশের বিচারব্যবস্থার উপরে সাধারণ নাগরিকদের ভরসা কমিয়ে দেবে, মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে এমনই অভিযোগ করেছেন বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর কথায়, ‘প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি আর এম লোধা সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়েছিলেন, দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতিদের উচিত তাঁদের অবসর গ্রহণের পরে অন্তত দু’বছর কোনও সরকারি পদ গ্রহণ না করা। এই নীতি মানলেন না গগৈ৷ মনে রাখতে হবে, দেশের বিচারব্যবস্থাকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ রাখার দায় শুধু দেশের বর্তমান বিচারক ও বিচারপতিদের উপরে বর্তায় না, এর দায়িত্ব বর্তায় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের উপরেও৷ দেশের সাধারণ মানুষের বিশ্বাসের উপরেই ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়৷ সেই বিশ্বাসই যদি না থাকে, তা হলে ন্যায়ের প্রশ্নই ওঠে না৷’

 

 

Exit mobile version