নয়াদিল্লি: তবলিগ জামাতের বিদেশি সদস্যদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। প্রায় ২২০০ জন বিদেশি সদস্যের ভারত ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। আগামী ১০ বছর এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে বলে খবর।
ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে মধ্য মার্চে দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজে বহু তবলিগ সদ্য জমায়েত করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে বহু বিদেশি নাগরিকও ছিলেন। অভিযোগ, লকডাউন ঘোষণার পরও সেই এলাকায় জমায়েত করেছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে করোনাও ছড়িয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুন: Unlock 1: রেস্টুরেন্ট ও শপিং মলে কী কী নিয়ম মানতে হবে, জেনে নিন নয়া নির্দেশিকা…
দিল্লির নিজামুদ্দিনে হওয়া এই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া প্রায় আড়াই হাজার বিদেশি নাগরিকদের শনাক্ত করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তাদের মধ্যে আমেরিকা, ফ্রান্স, ইটালি, মালয়েশিয়ার নাগরিকও ছিল। এদের শনাক্ত করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছিল। তাদের অনেককে দেশেও ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আগামী ১০ বছর তাঁরা আর ভারতের মাটিতে পা রাখতে পারবেন না বলে জানানো হয়।
১৩ মার্চ কেন্দ্র বলেছিল করোনা হেলথ ইমার্জেন্সি নয়। বিদেশ থেকে পর্যটকদের আসা যাওয়ায় কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি।অথচ ততদিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা মারাত্মক রূপ নিয়েছিল। বিদেশ থেকে যেহেতু অসুখটা এসেছে তাই প্রথমেই উড়ান বন্ধের ব্যাপারে জোর দেওয়া উচিত ছিল। তা না করে আটকে দেওয়া হল দেশের পরিযায়ী শ্রমিকদের। প্রথমেই উড়ান বন্ধ করলে এই মারাত্মক ফল হয়ত ভুগতে হত না। এমনটাই মনে করছেন অনেকে।
দেশ যখন করোনা নিয়ে অস্থির, তখন নিজামুদ্দিন নিয়ে বিদ্বেষ ছড়াতে কসুর করেনি গেরুয়া শিবির। মুসলিমদের ফের একবার হেনস্তার শিকার হতে হয়। সোশ্যাল সাইটে বিদ্বেষের পারদ চড়চড়িয়ে উঠেছিল। আন্তর্জাতিক বিশ্ব বিষয়টিকে ভাল নজরে দেখেনি।
স্বভাবসুলভভাবে বেশ কিছুদিন বিদ্বেষের পারদ চড়ার পর মুখ খুলেছিলেন নমো। ঐক্যের কথা শুনিয়েছিলেন। সেটা গেরুয়া শিবিরের বহুলোকের পছন্দ হয়নি। তারা ধরেই নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী কেবল মেরুকরণের কথাই বলবেন। সুতরাং তারা যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ভূমিকায় এবার খানিকটা হলেও তুষ্ট হলেন ,তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এমনটাই মনে করছেন বহু মানুষ।
আরও পড়ুন: শিশুর দুধ পৌঁছে দিতে চলন্ত ট্রেনের পিছনে দৌড় আরপিএফ কর্মীর, কুর্নিশ জানাল নেট নাগরিকরা