Site icon The News Nest

Electricity Bill: বাড়বে বিদ্যুৎ খরচ? রাশিয়া থেকে কয়লা আমদানি ঘিরে প্রশ্ন, ফায়দা চীনের

electricity bill payments

দেশজুড়ে বাড়তে পারে বিদ্যুত খরচ। ফলে সাধারণ মানুষের পকেটে এবার চাপ পড়তে চলেছে। দেশে যত পরিমাণে বিদ্যুৎ তৈরি হয় তার বেশিটাই আসে কয়লা থেকে। কিন্তু এবার দেখা গিয়েছে কয়লা সংকট। এমন পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে 76 মিলিয়ন টন কয়লা আমদানির প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।

বিশ্ব বাজার থেকে কয়লা কেনার অর্থ খুব স্বাভাবিক ভাবেই বিদ্যুতের বিল বৃদ্ধি। বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলি খুব স্বাভাবিক ভাবেই বাড়তি খরচের বোঝা নিজেদের ঘাড় থেকে ঝেড়ে গ্রাহকের উপরে ফেলবে। সেক্ষেত্রে প্রতি ইউনিটে বিদ্যুতের বিল বাড়তে পারে 50 থেকে 80 পয়সা। দাবি করা হয়েছে, বন্দর থেকে যতদূরে বিদ্যুৎ উৎপাদন কারখানা রয়েছে তার উপরে নির্ভর করে বিদ্যুতের দাম ঠিক করতে পারে কোম্পানিগুলি। অর্থাৎ বন্দর থেকে কয়লা পাওয়ার স্টেশনে পরিবহনের খরচও কোম্পানি সাধারণ মানুষের ঘাড়ে ফেলতে পারে।

জানা গিয়েছে, দেশে বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে Coal India Limited (CIL) 15 মিলিয়ন টন কয়লা আমদানিতে প্রস্ততি নিয়েছে। এছাড় NTPC ও Damodar Valley Corporation (DVC) ও 23 মিলিয়ন টন কয়লা আমদানি করার প্রস্তুতি নিয়েছে। এছাড়া চাহিদা মেটাতে নানা সরকারি ও বেসরকারি পাওয়ার কোম্পানিগুলি আরও 38 মিলিয়ন টন কয়লা আমদানি করতে পারে। এরফলে সব মিলিয়ে দেশে মোট 76 মিলিয়ন টন কয়লা আমদানি করা হতে পারে। বিশ্ব বাজারের দামের নিরিখেই কোম্পানিগুলিকে এই কয়লা কিনতে হবে। আর এখানেই সামনে এসেছে নয়া তথ্য।

আরও পড়ুন: Edible Oil Price: এক ধাক্কায় 30 টাকা কমল ভোজ্য তেলের দাম, সস্তা সরষের তেলও

জানা গিয়েছে, ভারতের বৃহত্তম সিমেন্ট উৎপাদনকারী আল্ট্রাটেক সিমেন্ট রাশিয়া থেকে কয়লা আমদানি করছে। এ জন্য ওই কোম্পানি চিনা মুদ্রা ইউয়ানে অর্থ পরিশোধ করেছে। ভারতীয় শুল্ক বিভাগের একটি নথি পর্যালোচনা করে রয়টার্স তাদের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। বলা হয়েছে, আল্ট্রাটেক রাশিয়ান কয়লা উৎপাদক SUEK থেকে ১,৫৭,০০০ টন কয়লা আমদানি করছে। এই কয়লা রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় বন্দর ভ্যানিনো থেকে এমভি মাঙ্গাস জাহাজে করে ভারতে আসছে। তাদের চোকাতে হয়েছে ১৭২,৬৫২,৯০০ ইউয়ান ($ ২.৫৮১ মিলিয়ন)।

বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত দু’টি সূত্র বলছে, রাশিয়ান কোম্পানি SUEK-এর দুবাই ইউনিট এই চুক্তি করেছে। অন্যান্য সংস্থাগুলিও ইউয়ানে অর্থ প্রদান করে রাশিয়ান কয়লার জন্য অর্ডার দিয়েছে। বলা হচ্ছে, ইউয়ানে অর্থপ্রদানের ক্রমবর্ধমান ব্যবহারে রাশিয়া লাভবান হতে পারে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার প্রভাব এড়াতে পারে। এর পাশাপাশি ইউয়ানকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা হিসেবে উপস্থাপনের জন্য চিনের প্রচেষ্টাও বাড়তে পারে।

সিঙ্গাপুরভিত্তিক এক মুদ্রা ব্যবসায়ী বলেন, এই পদক্ষেপটি গুরুত্বপূর্ণ। আমি আমার ২৫ বছরের কর্মজীবনে কখনও শুনিনি যে কোনও ভারতীয় কোম্পানি আন্তর্জাতিক ব্যবসার জন্য ইউয়ান ব্যবহার করছে। এটি আসলে মার্কিন ডলারের আধিপত্যে অচলাবস্থা তৈরির একটি পদক্ষেপ। পাশাপাশি নিজের মুদ্রার গুরুত্ব বাড়িয়ে যাচ্ছে চীন।

আরও পড়ুন: Har Ghar Tiranga: দেশভক্তি প্রবল করতে ‘ঘরে ঘরে তেরঙ্গা’ কর্মসূচি কেন্দ্রের

 

Exit mobile version