Site icon The News Nest

আজ ত্রিপুরায় অভিষেক, তার আগেই আগরতলায় ছেঁড়া হল পোস্টার

tripura tmc

২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। আগরতলা হয়েই দিল্লিতে পা রাখার ছক কষছেন মমতা। আর এই লক্ষ্যে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আজ পা রাখতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এর কয়েক ঘণ্টা আগেই মধ্যরাতের অন্ধকারে আগরতলার বহু জায়গায় ছেঁড়া হল তৃণমূলের ফ্লেক্স। আর এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল।

তৃণমূলের দাবি, এই ধরনের কাজ করার সংস্কৃতি বিজেপিরই আছে। যদিও এই ঘটনার দায় অস্বীকার করেছে বিজেপি। তবে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক যাওয়ার আগে তৃণমূলের তরফ থেকে প্রস্তুতি চরমে।

আজ বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকও করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন বিমান থেকে নেমে সোজা চপারে করে ত্রিপুরার উদয়পুকুরে যাবেন তিনি। সেখানে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো নিয়ে কর্মসূচি শুরু করবেন তিনি। বিকেল সাড়ে ৩টেয় সাংবাদিক বৈঠক করবেন আগরতলায়। এ বার আর বিরোধী হিসেবে নয়, সরকার গঠনই তৃণমূলের মূল লক্ষ্য। আর তারই তোড়জোড় শুরু হচ্ছে অভিষেকের হাত ধরে। কয়েকদিন আগে ত্রিপুরায় প্রশান্ত কিশোরের টিম আটক হওয়ার পরও প্রতিবাদ জানাতে ত্রিপুরায় ছুটে গিয়েছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।

আরও পড়ুন: ‘ডাবল ইঞ্জিন’ সরকারের বেহাল দশা,দেশের মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া রাজ্য বিহার

২০০৫ থেকেই ইউনিট আছে ত্রিপুরায়। বিভিন্ন সময় সেই ইউনিত ভেঙেছে, আবার গড়েছেও। কিন্তু অস্তিত্ব একটা ছিলই ঘাসফুল শিবিরের। বছর কয়েক আগে ত্রিপুরার আস্তবল ময়দানে ভাষণও দিয়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এ বার সর্বভারতীয় স্তরে তৃণমূল যে ভাবে বিস্তার লাভ করতে চাইছে, তারই কার্যক্রম শুরু হয়েছে ত্রিপুরায়। সূত্রের খবর, ত্রিপুরার শাসক দল বিজেপির অন্দরে অন্তর্দ্বন্দ্ব রয়েছে, আর সেটাকেই কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল। অভিষেক আগেই সাফ জানিয়েছেন যে দলের লক্ষ্য অন্য রাজ্যে বিরোধী তকমা পাওয়া নয়, শাসক দল হিসেবে জায়গা করে নেওয়া।

অন্যদিকে, আজ অভিষেকের কর্মসূচির আগে এ ভাবে তৃণমূলের পোস্টার ছেঁড়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ ঘাসফুল শিবির। এই ঘটনার কড়া নিন্দা করে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, ‘এটা বিজেপিরই কাজ। বিজেপিরই রুচি। ত্রিপুরার মানুষ সব দেখছে, বুঝছে, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে।’ তবে এই ঘটনার দায় অস্বীকার করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, এই কাজে দলের কোনও হাত নেই।

আরও পড়ুন: ই-রুপি: ডিজিট্যাল লেনদেনে নয়া অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে দেশে

Exit mobile version