দেশের সব থেকে পিছিয়ে থাকা রাজ্য বিহার (Bihar)। বলছে কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্ট। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনীতির নতুন তরজা।লোকসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেডের (JDU) সাংসদ রাজীব রঞ্জন সিংয়ের এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এমনই বলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাও ইন্দরজিৎ সিং। বলেছেন, নীতি আয়োগের ২০২০-২১ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী বিহারের কম্পোজিট স্কোর (১০০-র মধ্যে মাত্র ৫২) দেশের সব রাজ্যের মধ্যে কম। তিনি আরও জানিয়েছেন, ১১৫টি মাপকাঠিতে বিচার করেই বিহারের ফল এমন শোচনীয়। কেন্দ্রীয় রিপোর্ট বলছে, বিহারের প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষ এখনও দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করেন। ৫২.৫ শতাংশ মানুষ বহুমুখী দারিদ্রের সঙ্গে লড়ছেন। বিহারের প্রায় ৪২ শতাংশ শিশুর শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ ব্যহত। তাঁরা অপুষ্টিতে ভুগছেন। শুধু তাই নয়, বিহারের শিক্ষার হার মাত্র ৬৪.৭ শতাংশ। যা কিনা গোটা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন।
আরও পড়ুন : Tokyo 2020: নিশ্চিত হল ভারতের ব্রোঞ্জ পদক, ইতিহাস গড়লেন বক্সার Lovlina Borgohain
বিহারের নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন সরকারের বড় অংশীদার বিজেপি। আবার কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকারেরও শরিক নীতীশের জেডিইউ। তাছাড়া বিহারে নীতীশের রাজ আজ থেকে নয়। পরপর চারবার সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন জেডিইউ সুপ্রিমো। এবং টানা তাঁর এই কার্যকালের বেশিরভাগ সময়ই জেডিইউয়ের জোটসঙ্গীও ছিল বিজেপি। স্বাভাবিকভাবেই ‘ডাবল ইঞ্জিন’ সরকারের এমন বেহাল পারফরম্যান্স বিরোধীদের হাতে তুলে দিয়েছে নতুন অস্ত্র। নীতীশ সরকারকে এই ব্যর্থতার জন্য আক্রমণ করেছে বিরোধী RJD। তেজস্বী যাদবের (Tejaswi Yadav) প্রশ্ন, এতদিন ডবল ইঞ্জিন সরকার থাকা সত্ত্বেও সব মাপকাঠিতে কেন পিছিয়ে পড়ছে বিহার?
নীতি আয়োগের (Niti Ayog) রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মুহূর্তে দেশের সেরা রাজ্য কেরল। দ্বিতীয় স্থানে হিমাচল প্রদেশ এবং তামিলনাড়ু। তৃতীয় অন্ধ্রপ্রদেশ, গোয়া, কর্ণাটক, উত্তরাখণ্ড। শেষের দিক থেকে তিন রাজ্য অসম, ঝাড়খণ্ড এবং বিহার।