Site icon The News Nest

পাক অধিকৃত গিলগিট-বালটিস্তানে ফের ভোট করানোর সিদ্ধান্ত ইসলামাবাদের, আপত্তি জানাল নয়াদিল্লি

MODI IMRAN

গিলগিট বালটিস্তানের ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। ইসলমাবাদের সেই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করল নয়াদিল্লি। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের স্পষ্ট বক্তব্য, গিলগিট-বাল্টিস্তান সেনা দিয়ে দখল করে রেখেছে পাকিস্তান। সেখানে ভোট করানোর কোনও আইনি অধিকার ইসলামাবাদের নেই।

নভেম্বর মাসের ১৫ তারিখ গিলগিট-বালটিস্তানে ভোট করানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। তার পরেই নয়াদিল্লির তরফে কঠোর বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছেন, “এই ধরনের নির্বাচনের কোনও ভিত্তি তো নেই, তা বৈধও নয়।” বলে রাখা ভাল গিলগিট বালটিস্তানে আগেও ভোট করিয়েছে পাকিস্তান। তখনও আপত্তি জানিয়েছিল নয়াদিল্লি। গত পাঁচ বছর ধরে সেখানে ক্ষমতায় ছিল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ)।

আরও পড়ুন: বিয়ে করলেই মিলবে পুরস্কার! নবদম্পতি হাতে হাতে পাবেন ৪ লক্ষ টাকা

পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সংবিধান অনুসারে স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিতে হলে বাধ্যতামূলকভাবে পাক অন্তর্ভুক্তিকে সমর্থন করতে হয়। শুধু তাই নয়, ‘পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্যের’ শপথও নিতে হয় বাসিন্দাদের। নির্বাচন ঘোষণা করে আসলে গিলগিট-বাল্টিস্তান এলাকার চরিত্র বদলাতে চাইছে পাকিস্তান। আর সেটা বুঝতে পেরেই ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে দিল্লি।

বৃহস্পতিবার ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন,”সেনা দিয়ে জবরদখল করে রাখা গিলগিট বাল্টিস্তান এলাকার রাজনৈতিক অবস্থান বদলের যে কোনওধরনের প্রচেষ্টা পুরোপুরি বেআইনি। আমরা শুরুতেই আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছি। গোটা জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এবং সেটা ভারতের অংশ হিসেবেই বজায় থাকবে।”

প্রসঙ্গত, গিলগিট-বালটিস্তানে ১৮ অগস্ট ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে জুলাই মাসের ১১ তারিখ পাক প্রশাসন ভোট পিছিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। তার পর ফের ১৫ নভেম্বর ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। সেখানে বিধানসভার ২৪ টি আসনে ভোট গ্রহণ হবে।

আরও পড়ুন: ফেলে দেওয়া কন্ডোম ধুয়ে, শুকিয়ে ফের বিক্রি! ধৃত মহিলা, বাজেয়াপ্ত ৩৬০ কেজি কন্ডোম

Exit mobile version