Site icon The News Nest

জয়পুরে প্রয়াত মা, ভিডিও কলে দেখে শেষকৃত্য কান্নায় ভেঙে পড়লেন ইরফান

Irrfan

মুম্বই: লকডাউনের ফলে বন্ধ সমস্ত যানবাহন। তাই মায়ের প্রয়াণের খবর পেয়েও জয়পুর পৌঁছতে পারলেন না ইরফান খান। মুম্বইয়ের বাড়িতে বসেই ভিডিও কনফারেন্সে শেষকৃত্যে যোগ দিলেন তিনি।

 দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন ইরফান খানের মা সইদা বেগম। শনিবার জয়পুরে নিজের বাড়িতে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুকালে সইদা বেগমের বয়স হয়েছিল৮৫ বছর। ইরফান খানের মা হিসেবে পরিচিত হলেও সাইদা ছিলেন নবাবকন্যা। স্বাধীনতার পূর্বে রাজস্থানের একমাত্র মুসলিম রাজ্যের নবাবী পরিবারের সদস্যা ছিলেন তিনি। কবিতা পড়তে ভালবাসতেন। কবিতা লিখতেনও তিনি। বয়সজনিত কারণেই দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন সাইদা। সেই কারণেই মৃত্যু হয় তাঁর। সাইদার তিন ছেলে। ইরফান, সলমন ও ইমরান। মায়ের প্রয়াণের পর মেজ ছেলে সলমন জানিয়েছেন, “আমার মা কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তবে হঠাৎ শনিবার সকালে তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। সম্প্রতি মা ইরফান ভাইয়ের স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছিলেন। সেই নিয়ে একটু চিন্তান্বিতও ছিলেন তিনি।”

আরও পড়ুন: রমজানে শুভেচ্ছা জানালেন নুসরত, দিলেন টিকটক ট্রোলের জবাবও

জয়পুরের উপকণ্ঠে চুঙ্গি নাকা কবরস্থানে তাঁকে কবরস্থ করা হয়। তাঁর শেষকৃত্যে হাতে গোনা কয়েকজনই উপস্থিত থাকতে পেরেছিলেন। লকডাউনের কারণে অনেকেই জয়পুর পৌঁছতে পারেননি। এমনকী বড় ছেলে ইরফানও পৌঁছতে পারেননি গোরস্থানে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শেষকৃত্যে অংশ নেন তিনি। মাকে শেষ দেখা তিনি দেখেন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেই। মায়ের প্রয়াণে ভেঙে পড়েছেন ইরফান। বিশেষত শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকতে না পারায় আরও ভেঙে পড়েছেন তিনি।

কিছুদিন আগে মুম্বইয়ের বাড়িতেই মিঠুনের বাবা বসন্তকুমার চক্রবর্তীর মৃত্যু হয়। মিঠুন আটকে ছিলেন বেঙ্গালুরুতে। লকডাউনের কারণে তিনিও মুম্বই পৌঁছতে পারেননি তিনি।

আরও পড়ুন: লকডাউনে খুশির খবর টলিউডে! সেরা ২৫ এশিয়ান ফুড ফিল্মে জায়গা করে নিল ‘আহা রে’

Exit mobile version