Site icon The News Nest

কাছা খুলে বিজেপিতে স্বাগত করা হয়েছিল….তৃণমূলে ফেরার হিড়িক নিয়ে দলকেই খোঁচা তথাগতর

Tathagata Roy PTI

বিধানসভা নির্বাচনে আশানুরুপ ফল না হওয়ায় ফের একবার দলীয় নেতৃত্বকেই কটাক্ষ কটাক্ষ করলেন বিজেপির বরিষ্ঠ নেতা তথাগত রায়। রবিবার এক টুইটে, তৃণমূলে ফেরার হিড়িক নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বকে কটাক্ষ করেছেন তিনি। অভিযোগ করেছেন, যাঁদের জন্য পুরনো বিজেপি কর্মীদের উপেক্ষা করা হয়েছিল তারাই এখন তৃণমূলে ফিরে যাচ্ছেন।

অতীতের মতো নাম নেননি কারও, তবে ক্ষোভও চেপে রাখেননি। এদিন ট্যুইটারে তথাগত রায় লেখেন, “যা বলেছিলাম ঠিক তাই। কাছা খুলে যাদের বিজেপিতে স্বাগত করা হয়েছিল, যাদের খাতিরে বিজেপির বিশ-ত্রিশ বছরের পুরোনো কর্মীদের চরম উপেক্ষা করা হয়েছিল তারা সবাই এক এক করে তৃণমূলে ফিরে যাচ্ছে।”

সোনালি গুহ বিজেপি ছেড়েছেন। তৃণমূলে যোগ দিতে মরিয়া সরলা মুর্মু। এই ঘরওয়াপাসির হাওযাতে ভয়ডরহহীন প্রবীণ  বিজেপি নেতা তাঁর পুরনো তত্ত্বকেই সামনে রাখতে চাইছেন আরও একবার। ঠিক কী বলেছিলেন তিনি?  চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেই ট্যুইটারে ঝড় তোলেন তথাগত। হারের কারণ পর্যালোচনা করে বিদ্রোহী তথাগত সেদিন লেখেন,”কৈলাস, দিলীপ, শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ-এই চারমাথায় প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মান ধুলোয় মিশিয়েছে। এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় দলের নাম খারাপ করেছেন। হেস্টিংসের শীর্ষে এবং সাততারা হোটেলে বসে তাঁরা তৃণমূলের আবর্জনাদের মধ্যে টিকিট বাঁটোয়ারা করেছেন। এখন দলীয় কর্মীদের তোপ থেকে বাঁচতে তাঁরা সেখানেই বসে আছেন। ভাবছেন এই ঝড় চলে যাবে।”

তথাগত বাবু আরও বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের সঠিক দিশা দেখাতেই পারেনি রাজ্যের সংশ্লিষ্ট নেতারা। তথাগতবাবুর অনুমান ছিল, এই ঘটনার ফলে দুটি গোষ্ঠী দল ছা়ড়বে। এর মধ্যে একদল হচ্ছেন তৃণমূল থেকে হঠাৎ আসারা, অন্যেরা হলেন বিজেপির পুরনো কার্যকর্তারা, যদি না তাদের নতুন পথের সন্ধান দেওয়া যায়। সোনালিরা দল ছাড়ায় তথাগত মনে করছেন তাঁর তত্ত্বই ফলছে।

আরও পড়ুন: ‘আপনাকে ছাড়া বাঁচব না দিদি’, মমতার কাছে ক্ষমা চেয়ে তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ সোনালি গুহর

প্রসঙ্গত এর আগেও তনুশ্রী পায়েলদের নগরীর নটী সম্বোধন করে বিতর্কের মুখে পড়েছেন তথাগত। দলের বিষয়ে বিস্ফোরক তোপ দেগে দিল্লিতেও শীর্ষনৈতৃত্বের সঙ্গেও কথা বলতে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাতেও যে তাঁর ক্ষোভ এতটুকুও প্রশমিত হয়নি তা তাঁর কথাবার্তাতেই পরিষ্কার।

পালটা বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘তৃণমূল থেকে যারা ভোটের মুখে এসেছিলেন তাদের কাউকে টিকিট দেওয়া হয়নি। দলের কোনও পদেও বসানো হয়নি। তাঁরা বিজেপির আদর্শে কাজ করতে চেয়েছিলেন। তাদের কি ‘চাই না’ বলে দূরে সরিয়ে দেওয়া উচিত ছিল? এখন যারা তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন তাঁরা আসলে সুবিধাবাদী।’

সঙ্গে জয়প্রকাশবাবু বলেন, ‘সোনালি গুহরা যেমন মান অভিমান থেকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছিলেন। তথাগতবাবুও তেমন মান অভিমান থেকে নিজের দলকে আক্রমণ করছেন। দলের সমালোচনা না করে ওনার উচিত সুবিধাবাদীদের সমালোচনা করা।’

বলে রাখি, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের মাসকয়েক আগে সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরার ইচ্ছা নিয়ে মেঘালয়ের রাজ্যপালের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে শিলং থেকে কলকাতা ফেরেন তথাগত রায়। তার পর কেন্দ্র ও রাজ্যের একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করলেও ভোটের টিকিট বা দলের পদ কোনওটাই পাননি তিনি। যার জেরে  বারবার বিদ্রোহী সুর শোনা গিয়েছে তাঁর কণ্ঠে।

আরও পড়ুন: হাইকোর্টে সিবিআইয়ের শুনানি মুলতুবির আর্জি খারিজ, ৭ বছর তদন্ত করে কেন চার্জশিটের পর গ্রেফতার? প্রশ্ন বিচারপতির

 

Exit mobile version