Site icon The News Nest

পাঠ করলেন ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’, নাম নিলেন, উত্তম- সুচিত্রার! বাঙালি আবেগ উসকে শারদীয়া বার্তা মোদীর

modi durga puja 1200

মহাষষ্ঠীর সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে জোর গুঞ্জন। বাঙালি আবেগকে উসকে দিয়ে ভোটবাক্সকে মজবুত করার চেষ্টা চলছে বলেই আলোচনাও শুরু হয়েছে। আর ঠিক তারই মাঝে বক্তৃতার শুরু এবং শেষে বাংলা ভাষাতেই কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার বক্তৃতার শুরুতেই বাংলায় ভাষায় দুর্গা এবং কালীপুজোর শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তবে কোভিডবিধি মেনে উৎসব উদযাপনের বার্তা দেন তিনি। বারবার মাস্ক ব্যবহার করার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এখানেই শেষ নয়। তাঁর বক্তৃতায় বাংলা ভাষার কথা উঠে এসেছে বারবার। বক্তৃতার শেষে বলেন, ”বাংলা ভাষা এত মিষ্টি যে এই ভাষা বলার লোভ সামলাতে পারলাম না।। জানি আমার উচ্চারণে কিছু খামতি ছিল। তার জন্য মার্জনা করবেন।”

নারী শক্তির আরাধনায় মেতেছে বাঙালি। তাই এদিনের বক্তৃতায় নারী শক্তির কথাও বারবার বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “উমা এলো ঘরে। বাংলার এই সনাতন পরম্পরা রয়েছে। প্রতিটি নারীকে মায়ের মতো শ্রদ্ধা জানাতে হবে। নারীদের প্রতি নির্যাতন রুখতে এদেশে এখন কড়া আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। মহিলাদের সুরক্ষার জন্য এই সরকার যথেষ্ট তৎপর।” এদিন তাঁর বক্তৃতায় বাংলায় স্বনামধন্য ব্যক্তিত্বদের কথাও বারবার জায়গা পেয়েছে। রবীন্দ্রনাথ থেকে বঙ্কিমচন্দ্র। আবার ক্ষুদিরাম বসু, বিনয়-বাদল-দীনেশ থেকে মাতঙ্গিনী হাজরার কথা বলেছেন তিনি। উঠে এসেছে সত্যজিৎ রায়, উত্তম কুমার, সুচিত্রা সেনের নামও।

আরও পড়ুন: বাড়ি ফিরলেন দিলীপ ঘোষ, বললেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি, সতর্ক থাকুন!

আবেগের বশেই তাঁকে বলতে শোনা যায় যে, “উচ্ছ্বাস দেখে মনে হচ্ছে যেন দিল্লি নয়, আমি বাংলাতেই আছি”। তাঁর সঙ্গে তিনি এও বলেন যে, বাংলার মানুষ চিরকাল দেশকে উন্নতির পথ দেখিয়েছে। মা দুর্গাকে মেয়ে রূপে আদর করা হয় এই বাংলাতেই, এটাই ভারতীয় সমাজের আধার। এর সঙ্গে দেশকে আত্মনির্ভর হওয়ার কথাও স্মরণ করান তিনি। তাঁর মতে, কৃষকেরা আত্মনির্ভর হলে, তবেই ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে’ এই প্রার্থনা পূর্ণ হবে।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের মধ্যে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল যে, একুশের ভোটে বাংলা জয়ের আশাতেই বিজেপির এই দুর্গাপুজো ও প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে উদ্বোধনের এই পরিকল্পনা করা হয়েছে, এবার সেই জল্পনাতেই সিলমোহর দিলেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই। বাঙালীর ভাবাবেগ নিয়ে যে তিনি রীতিমতো চর্চা করেছেন, তা তাঁর বক্তৃতায় স্পষ্ট। আর এই আবেগে উস্কানি দেওয়া যে ভোটকেন্দ্রিক সে কথা বলাই বাহুল্য।

আরও পড়ুন: বদল হল না হাইকোর্টের রায়ে, ই-পাসের দাম ফেরাবে ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’

Exit mobile version