The News Nest: কারণে অকারণে মন খারাপ হওয়া মনেরই ধর্ম। অনেকেরই থেকে থেকে কোনো কিছুতেই ভালো লাগে না। কেমন একটা মন খারাপ করা ভাব। এমন হলে খাওয়াদাওয়াতেও মন লাগে না। বাকি কাজ তো ছেড়েই দিন। কিন্তু এর পরিণতি যা হয় তা হল শরীর খারাপ। কিন্তু এটা তো চলতে দেওয়া যায় না। তাই হুট করে মন খারাপ লাগলে, হুট করে তা ঠিকও করে ফেলতে হবে। কী করে? তারই কয়েকটি উপায় বাতালানো যাক –
১। মন খুলে হাসুন
মন ভালো রাখার সব চেয়ে সেরা ওষুধ হাসি। খুব মন খারাপ হলেও হাসি মন ঠিক করে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাসির সুফল সুদূরপ্রসারী। খালি মন না, শরীরকেও সুস্থ রাখে হাসি। এ ছাড়াও এটি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়াতে সাহায্য করে।
২। শরীরচর্চা করুন
শরীরচর্চা অর্থাৎ ব্যায়ামও আপনার মন ভালো রাখতে পারে। শরীরচর্চার ফলে অ্যান্ডরফিন নামক হরমোন নির্গত হয়। এই হরমোন মন চাঙ্গা রাখে, ভালো রাখে। তা ছাড়া শরীরচর্চা উদ্বেগ ও মানসিক অবসাদ কমাতে খুবই সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: করোনাকে ‘নকআউট’ করুন, ঘরে থেকেই কমান ভিটামিন ডি-র ঘাটতি
৩। হাঁটুন
হাঁটতে পারেন। ঘরে যদি কোনো কিছু করার না থাকে, বা ভালো না লাগে তবে মন ভালো করতে হাঁটতে বেরিয়ে যান। বাইরের খোলা হাওয়া মনকে সতেজ করবে।
৪। রোদে দাঁড়ান
নিয়ম করে যদি সকালে ঘুম থেকে উঠে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে কয়েক মিনিট রোদে দাঁড়াতে পারেন তা হলে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি
পায়। ঝকঝকে সূর্যালোকের এমন ক্ষমতা আছে, যা মানসিক ভাবে সুস্থ রাখে।
৫। গান
মন খারাপের আরও একটি মোক্ষম ওষুধ হল গান। গান মানুষের মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই তো মিউজিক থেরাপি আজকাল এত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। পছন্দের কোনো গান শুনলে মুহূর্তেই আপনার মন ভালো হয়ে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গান মন ভালো রাখার পাশাপাশি মানসিক ও শারীরিক বিভিন্ন সমস্যাও দূর করে। তাই চাইলে নিজেও গলা ছেড়ে গান গাইতে পারেন।
৬। ছবি দেখুন
পুরোনো ছবির অ্যালবাম দেখুন। তাতে মন খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যায়। কারণ পুরোনো দিনের মজার মজার কথা মনে করিয়ে দেয় ছবি। ফলে মন আপনা থেকেই খুশিতে ভরে ওঠে।
৭। ইনডোর গেমস খেলুন
তা ছাড়া ইনডোর গেমস খেলুন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একত্রিত হোন, সবাই মিলে মজাদার কোনো খেলা খেলুন। এই হইচই আনন্দ মন ভরিয়ে তুলবে।
৮। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কথা বলুন
বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ফোনে কথা বলুন। কোনো সমস্যা মনে দানা বাঁধলে শেয়ার করুন। সমস্যা থেকে বেরোনোর পথ জানতে চাইতে পারেন বন্ধুবান্ধবের কাছে। পরামর্শ চাইতে পারেন।
আরও পড়ুন: পিরিয়ডস চলাকালীন শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন? সাবধান, হতে পারেন প্রেগনেন্ট