ওয়েব ডেস্ক: বিহারের (Bihar) এক গ্রাম থেকে দেখতে পাওয়া গেল বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের (Mount Everest)। স্বাভাবিক ভাবেই সেই ছবি অনলাইনে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
লকডাউন পরবর্তী সময়ে দেশের পরিস্থিতি কী হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন আমআদমি থেকে বিশেষজ্ঞ সকলেই। তবে লকডাউন চলাকালীন এ দেশে যে সব চমৎকার হচ্ছে তা দেখে তাজ্জব হতেই হয়। করোনা মোকাবিলায় ৪২ দিনে পড়েছে দেশে লকডাউন। এই নিয়ে দু’বার লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। যার জেরে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছেন কলকারখানা এবং যানচলাচল। ফলে কমেছে দূষণের মাত্রা।
আর লকডাউন এফেক্টে দূষণ নাকি এতই কমে গিয়েছে যে বিহারের গ্রাম থেকে যাচ্ছে মাউন্ট এভারেস্ট। সোমবার সকালে হতবাক হয়ে গিয়েছে বিহারের সিংবাহিনী গ্রামের বাসিন্দারা। সকাল সকাল চোখ মেলেই দেখেন সামনে শোভা পাচ্ছে শ্বেতশুভ্র বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে নেপালে অবস্থিত মাউন্ট এভারেস্টের এমন পরিষ্কার ঝলক দেখতে পেয়ে মুগ্ধ হয়েছেন সকলেই। মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় এই ছবি।
আরও পড়ুন: গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পজিটিভ ৩,৯০০, রাজ্যগুলির ঘাড়ে দোষ কেন্দ্রের
টুইটারে এই ছবি শেয়ার করেছেন অনেকেই। তাঁদের সকলেরই দাবি সত্যিই এমনটা হয়েছে। সিংবাহিনী গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান ঋতু জয়সওয়ালও শেয়ার করেছেন এই ছবি। টুইটারে ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘‘সীতামারহি জেলার সিংহবাহিনী গ্রামে আমাদের বাড়ির ছাদ থেকেই আমরা মাউন্ট এভারেস্টকে দেখতে পাচ্ছি। প্রকৃতি নিজের ভারসাম্য খুঁজে পাচ্ছে।“ ছবি শেয়ারের তালিকায় রয়েছেন আইএফএস অফিসার প্রবীণ কাসওয়ানও। তিনিও লিখেছেন, “কয়েক দশক পর এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছে।“ তবে ঋতু জয়সওয়াল কীভাবে নিশ্চিত যে এটা মাউন্ট এভারেস্ট, সে ব্যাপারে তাঁকে প্রশ্নও করেছেন টুইটারিয়ানরা। জবাবে ঋতু বলেছেন, তাঁর স্বামী যখন ছোট ছিলেন, তখন আটের দশকে তিনি একবার এই গ্রাম থেকেই এভারেস্ট দেখতে পেয়েছিলেন।
বিহারের ওই গ্রামের বাসিন্দাদেরও দাবি সম্প্রতি কয়েক দশকে এমন ছবি দেখেননি কেউ। ঘন গাছপালার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিচ্ছে মাউন্ট এভারেস্ট। রোদ ঠিকরে পড়ছে তার উপর। এ যেন স্বর্গীয় দৃশ্য, বলছেন সিংহবাহিনী গ্রামের বাসিন্দারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই ছবি ইতিমধ্যেই লক্ষাধিক লাইক পেয়েছে। অসংখ্যা শেয়ারও হয়েছে।
আরও পড়ুন: চোখের পলকেই পেখম মেলে উড়ে গেল ময়ূর! দুর্লভ ভিডিয়োয় মুগ্ধ নেটপাড়া