Site icon The News Nest

ট্রেন্ড শেষ! কমছে খদ্দের, ফের মাছি তাড়াচ্ছে দিল্লির ‘বাবা কা ধাবা’

baba ka dhaba 4

গত ৮ই অক্টোবর সোশ্যাল মিডিয়ায় হৈচৈ পড়ে গিয়েছিল দিল্লির মালভিয়া নগর এর এক ছোট্ট খাবার দোকান কে নিয়ে। কান্তা প্রসাদ নামে এক বৃদ্ধ এবং তার স্ত্রী মিলে এই ছোট্ট খাবার দোকানটি চালান এবং লকডাউনে তাদের করুণ দুর্দশার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে এসেছিল এক ব্যক্তির হাত ধরে এবং তার পরেই ঘটে যায় বদল।

বাবা কা ধাবা রীতিমত বিখ্যাত হয়ে যায়। বিভিন্ন কোম্পানি নিজেদের সাইনবোর্ড বসায় বাবার দোকানের সামনে এবং প্রবল ভীড় জমতে থাকে সেই ধাবায়। কান্তা প্রসাদের ভাগ্য খুলে যায়। এমনকি বেশকিছু বলিউড সেলিব্রিটিও গোটা ঘটনাটি নিয়ে টুইট করেন। সোশ্যাল মিডিয়াকে ধন্য ধন্য করতে শুরু করেন সবাই।

কিন্তু এখন গোটা পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। বাবা কা ধাবা এখন সম্পূর্ণ মাছি তাড়াচ্ছে। ঘটনার মাত্র ২০ দিন পরেই বাবা কা ধাবা আবার সেই পুরনো অবস্থায় ফিরে এসেছে। কোম্পানি গুলি বেশিরভাগ তাদের সাইনবোর্ড খুলে নিয়ে গিয়েছে। খেতেও আসছেন অল্প কয়েকজন। অধিকাংশ মানুষ আসছেন বাবার সঙ্গে সেলফি তুলতে বা বাবার দোকানের সামনে ভিডিও করতে। কান্তা প্রসাদ নিজের মুখে অসহায় গলায় বলছেন যে আপনারা “দয়া করে খেতে আসুন, সেলফি তুলতে না!”

আরও পড়ুন: Bihar Assembly Polls 2020: উদ্ধার আইইডি, উত্তেজনার মধ্যেই প্রথম দফায় ভোটদান শুরু

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম DNA- তে বাবার দোকানের করুণ দশার কথা ফের একবার ফুটে উঠেছে। ছবিতে দেখা গিয়েছে দোকানে লোকের ভিড় একদম নেই। তবে বলিউডের একজন পাবলিক রিলেশন ম্যানেজার বাবাকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন। তিনি নাকি এখন কান্তা প্রসাদ এর দোকানের পিআরের কাজ করছেন।  তিনি জানালেন যে তিনি কোন অর্থনৈতিক লাভের উদ্দেশ্যে কান্তা প্রসাদ কে সাহায্য করছেন না ।সম্পূর্ণ মানবিকতার খাতিরেই তিনি কাজটি করছেন যাতে নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে বাবার দোকান কে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া যায়।

তবে এই ঘটনার পর, একথা বলা ভুল হবে না যে, মানবিকতা এইভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখানোর জিনিস নয়। কাউকে সাহায্য করতে চাইলে সেটা আপনি নীরবেই করতে পারবেন। সোশ্যাল মিডিয়া ছবি তুলে পোস্ট করলে আপনার মানবিকতা বেড়ে যাবে না।

অন্যদিকে, আশি পেরনো কান্তা প্রসাদ ও তাঁর স্ত্রী বাদামি দেবীর চোখের ছানি অপারেশন করেছেন দিল্লির এক চিকিৎসক। এবং তা একেবারে নিখরচায়। টুইটারে ‘বাবা কা ধাবা’-কে ভাইরাল করেছিলেন বসুন্ধরা শর্মা নামে এক নেটিজেন। ভিডিও দেখেই সমীর সুদ নামে চিকিৎসক, যিনি বসুন্ধরার বন্ধুর বাবা, বুঝতে পেরেছিলেন যে দুই বৃদ্ধ-বৃদ্ধার চোখেই ছানি রয়েছে। অসহায় দম্পতির পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হয়নি তাঁর।
আরও পড়ুন: সন্তানের জন্য সবেতনে ছুটি পাবেন ‘সিঙ্গেল পেরেন্ট’ বাবাও
Exit mobile version