Site icon The News Nest

কেন্দ্রের তুলনায় ভ্যাকসিন কিনতে বেশি টাকা লাগবে রাজ্যর! এখন কি ব্যবসার সময়- মোদীকে প্রশ্ন বিরোধীদের

vaccine pti 1618993805

কেন্দ্রের ভ্যাকসিন নীতি নিয়ে একযোগে সরব কংগ্রেস-তৃণমূল-বামফ্রন্ট। বিরোধীদের অভিযোগ, এই সংকটের সময়ও ভ্যাকসিন নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। সাধারণ মানুষের কথা না ভেবে শিল্পপতিদের স্বার্থরক্ষা করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। রাহুল গান্ধী বলছেন, দেশবাসীর বিপদের সুযোগ নিচ্ছে বিজেপি। মমতা বলছেন, ভ্যাকসিন নিয়ে ব্যবসা হচ্ছে। বামেরা আবার বলছে, এতদিন ধরে যে কোনও রোগের ক্ষেত্রেই কেন্দ্র সরকার বিনামূল্যে টিকাকরণ করে আসছে। তাহলে বিজেপি সে পথে হাঁটছে না কেন?

প্রথমত, ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে টিকাকরণের কথা কেন্দ্র ঘোষণা করার পরই একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলে বিরোধী শিবির। ভ্যাকসিন কীভাবে বণ্টন হবে? রাজ্য সরকার কীভাবে পাবে? কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে সমন্বয় হবে কীসের ভিত্তিতে? ধীরে ধীরে এসব প্রশ্নের জবাব দিয়েছে কেন্দ্র। সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি রাজ্যগুলিকে উৎপাদনের ৫০ শতাংশ টিকা সরাসরি দিতে পারবে। অর্থাৎ ভ্যাকসিন পেতে কেন্দ্রের মুখের দিকে চেয়ে থাকার প্রয়োজন নেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও রয়ে গিয়েছে কয়েকটি বড় প্রশ্ন।

আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত কেজরিওয়ালের স্ত্রী, আইসোলেশনে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী

বুধবার সেরাম ইনস্টিটিউটের তরফে বলা হয়েছে সমস্ত রাজ্য সরকারকে কোভিশিল্ডের প্রতিটি ডোজের জন্য খরচ করতে হবে ৪০০ টাকা। অর্থাৎ দু’টি ডোজের জন্য লাগবে ৮০০ টাকা। পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলির ক্ষেত্রে কোভিশিল্ডের প্রতি ডোজের দাম ধার্য করা হয়েছে ৬০০ টাকা। যদিও কেন্দ্র ১৫০ টাকার বিনিময়েই প্রতিটি ডোজ পাবে। এখানেই প্রশ্ন তুলছেন মমতা। তিনি বলছেন, “ভ্যাকসিন নিয়ে ব্যবসা করবেন না।”

টুইটে রাহুল গান্ধী কেন্দ্রকে বিঁধে বললেন,”বিপদ দেশের, সুযোগ মোদির বন্ধুদের, আর অন্যায় কেন্দ্র সরকারের।” সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলছেন,”এটা মেনে নেওয়া যায় না। কেন্দ্রের উচিত নিজেরা ভ্যাকসিন কিনে সব রাজ্যের মধ্যে স্বচ্ছভাবে বণ্টন করা। সেজন্যই পি এম কেয়ারস-এর নামে কোটি কোটি টাকা তোলা হয়েছিল। ৭০ বছর ধরেই ভারত সরকার সবার জন্য বিনামূল্যে টিকার ব্যবস্থা করে আসছে।”

আরও পড়ুন: ফিরছে দুঃসহ স্মৃতি, আবারও বাড়ির পথে কর্মহীন-অভুক্ত পরিযায়ীরা

Exit mobile version