Site icon The News Nest

চেন্নাইয়ের একটি বাজার থেকেই সংক্রমণ ২৬০০ জনের! আতঙ্কের ছবি তামিলনাড়ুতে

Tamil Nadu

চেন্নাই: চেন্নাইয়ের কোয়ামবেড়ু বাজারের কাছে একটি সেলুনে প্রথম একজনের শরীরে করোনাভাইরাসের খোঁজ মিলেছিল। গত ২৭ এপ্রিলে। তারপর থেকে আজ অবধি ওই কোয়ামবেড়ু বাজার ও তার সংলগ্ন এলাকা থেকেই সবচেয়ে বেশি কোভিড রোগীর খোঁজ মিলেছে। অন্তত তিন হাজার কোভিড পজিটিভ রোগীকে চিহ্নিত করা হয়েছে ওই বাজার ও তার সংলগ্ন এলাকা থেকেই। এমনটাই জানিয়েছেন, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক।

চেন্নাই শহরের অদূরে কোয়মবেদু তামিলনাড়ুর বৃহত্তম পাইকারি বাজারের মধ্যে অন্যতম। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের ভিড় জমে বাজারে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানোর পর অন্যান্য এলাকার মতো এই বাজারেও জারি হয়েছিল সতর্কতা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বেচাকেনা করার কথা বলেছিল প্রশাসন। কিন্তু সে সব উপেক্ষা করেই দিনের পর দিন চলেছে এই বাজার। ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনা তীব্র হয়। তাই বাজারে আসা সমস্ত মানুষের করোনার পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই টেস্টের রিপোর্ট আসার পরেই মাথায় হাত পড়েছে প্রশাসনের।

আরও পড়ুন: ৩০ জুন পর্যন্ত স্পেশাল ছাড়া সব ট্রেনের বুকিং বাতিল, নয়া নির্দেশিকা রেলের

স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিক জে রাধাকৃষ্ণন জানিয়েছেন, ‘‘বাজারের দোকানদার-খরিদ্দার এবং তাঁদের সংস্পর্শে আসা সবার করোনা টেস্ট করা হয়েছিল। তাতে ২৬০০ জনের রিপোর্ট পজিটিভ। সব মিলিয়ে টেস্ট করা হয়েছিল প্রায় ২ লক্ষ ৬০ হাজার জনের।’’ তিনি আরও বলেন, বস্তি ও ঘনবসতি এলাকায় সংক্রমণ শৃঙ্খল আটকানোই এখন প্রশাসনের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন রাধাকৃষ্ণন।

বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া হিসেবে তামিলনাড়ুতে এই মুহূর্তে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯২২৭। মৃতের সংখ্যা ৬৪। চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২১৭৬ জন। করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যায় তামিলনাড়ু দেশের মধ্যে বর্তমানে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। গত সপ্তাহেই দিল্লিকে টপকে আক্রান্তের সংখ্যায় উপরে উঠে এসেছে। কোয়মবেদু বাজারে ২৬০০ জনের সংক্রমণ সেই পরিসংখ্যানে বড় ভূমিকা নিয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

আরও অনেকের টেস্টের রিপোর্ট আসা বাকি রয়েছে। তাতে সংখ্যাটা যে আরও বাড়বে, তা কার্যত নিশ্চিত। ফলে প্রচণ্ড উদ্বেগে স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকরা। আপাতত ওই বাজারকে করোনার হটস্পট ঘোষণা করে কড়া নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত ঘর ফিরতি শ্রমিকরা, উত্তর ও মধ্য প্রদেশে দুর্ঘটনায় মৃত্যু ১৪ পরিযায়ী শ্রমিকের

Exit mobile version