Site icon The News Nest

কৃষক সংগঠনের ডাকে আগামীকাল ১২ ঘণ্টার ভারত বনধ

farmer protest 770x433 1

কেন্দ্রের ৩টি নতুন কৃষি আইনের বিরোধিতা অন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে চাইছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (এসকেএম)। কেন্দ্রীয় কৃষক সংগঠনগুলির সংযুক্ত মোর্চা শুক্রবার ১২ ঘণ্টা ভারত বনধের ডাক দিয়েছে। যার জেরে গোটা দেশ কার্যত অচল হয়ে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দেশের সাধারণ মানুষের কাছে এই বন্‌ধ সফল করার আহ্বানও জানিয়েছেন এসকেএম-এর নেতারা।

সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে জারি করা এক আবেদনে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার তাদের দাবি মানতে চাইছে না। উলটে দিল্লির সীমানায় ৪ মাস ধরে চলা কৃষকদের এই আন্দোলনকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত ভারত বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। এই বনধে রেল, সড়ক, বাজার বন্ধ রাখার ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে যে যে জায়গায় ভোটের কাজ চলছে সেগুলিকে বনধের বাইরে রাখার কথাও বলা হয়েছে এসকেএমের তরফে। ফলে গোটা দেশে স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাপক ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্ধ্রপ্রদেশের জগনমোহন রেড্ডির পার্টি ওয়াইএসআর কংগ্রেসের মতো কয়েকটি রাজনৈতিক দল ইতিমধ্যেই বনধকে সমর্থন করেছে।

আরও পড়ুন: ‘কেন ২০টি সন্তানের জন্ম দাওনি’,ফের বিতর্কে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তীরথ

ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের সভাপতি রাকেশ টিকাইত দাবি করেছেন, “কেন্দ্রীয় সরকার আন্দোলনকারীদের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে। কিন্তু তারা সফল হতে পারেনি।” গত সপ্তাহে তিনি একটি সভায় এই দাবি করেন। সেখানে তিনি আরও বলেন, “এই লড়াই আরও দীর্ঘ হবে। দিল্লির পাশাপাশি এই আন্দোলন দেশের অন্য শহরগুলিতেও ছড়িয়ে দিতে হবে। যত দিন না এই কালো আইন তুলে নিয়ে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ফিরিয়ে আনা হচ্ছে তত দিন এই আন্দোলন চলবে।”

প্রসঙ্গত এই নতুন তিনটি কৃষি আইন নিয়ে কৃষক সংগঠন এবং কেন্দ্রীয় সরকার দু’তরফেই নিজের অবস্থানে কার্যত অনড়। ১১ বার এই নিয়ে বৈঠক হয়েছে দু’পক্ষের। কিন্তু বিশেষ কোনও সমাধান সূত্র বেরয়নি। সরকারের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, নতুন আইন ১২ থেকে ১৮ মাসের জন্য স্থগিত রাখা হবে। যদিও প্রত্যাহারের প্রস্তাবে রাজি হয়নি কেন্দ্র। কিন্তু আইন স্থগিত রাখার প্রস্তাবে রাজি হয়নি কৃষক সংগঠনগুলি। ফলে অচলাবস্থা চলছেই।

আরও পড়ুন: জিতলেই সবাইকে আইফোন, চাঁদে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি নির্দল প্রার্থীর!

Exit mobile version