শিশুদের ক্ষেত্রে জামাকাপড় খুলিয়ে বা জামাকাপড়ের ভিতরে হাত গলিয়ে তাদের বুক বা গোপনাঙ্গ স্পর্শ না করা হলে সেটা যৌন নির্যাতন নয়। এমন ঘটনা শিশুদের যৌন নির্যাতন থেকে সুরক্ষা (পকসো) আইনে পড়বে না। বোম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের মহিলা বিচারপতি পুষ্প গানেদিওয়ালা এই রায় দিয়েছেন।
মহিলা বিচারপতি অবশ্য এও জানিয়েছেন, অঙ্গপ্রবেশ (‘পেনিট্রেশন’) না ঘটিয়ে যদি কোনও শিশুকে যৌন ইচ্ছায় স্পর্শ করা হয়, সেটা যৌন নির্যাতন বলেই বিবেচিত হবে। তবে শিশুদের জামাকাপড় খুলিয়ে বা জামাকাপড়ের ভিতরে হাত গলিয়ে তাদের বুক বা গোপনাঙ্গ স্পর্শ না করা হলে সেটা যৌন নির্যাতন বলে ধরা হবে না পকসো আইনে।
আরও পড়ুন: সেরামের আগুনে মৃত্যু ৫ নির্মাণকর্মীর, কোভিশিল্ড উৎপাদনে ক্ষতি হয়নি, জানালেন পুনাওয়ালা
এক নাবালিকার যৌন হেনস্থার চেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্তের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ কথা জানিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট। পকসো আইনের ৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই অভিযুক্তের সর্বাধিক তিন বছর কারাবাসের সাজা হওয়ার কথা ছিল। আইনের এই ব্যাখ্যা দিয়ে বিচারপতি গানেড়িওয়ালা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ এবং ৩৪২ নম্বর ধারা অনুযায়ী ওই ব্যক্তিকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
বম্বে হাইকোর্টের এই রায়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। শিশুদের সরল মনের সুযোগ নিয়ে প্রায়ই বুকে হাত দেওয়া বা গোপানঙ্গে স্পর্শ করার ঘটনা ঘটে থাকে। শুধু জামা কাপড়ের ভেতর দিয়েই তা হয় এমন নয়। পোশাকের উপর দিয়ে যদি তা হয়, তাহলে কী সুবিচার মিলবে না? প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে ইতিমধ্যে। অনেকেই বলছেন, বম্বে হাইকোর্টের এই রায়ের পর এই ধরনের ঘটনা আরও বাড়বে। পোশাক না খোলার অজুহাতে অন্যায় বাড়বে বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল। আর এই কারণে বিচারব্যবস্থার উপর আস্থা হারাবেন অভিভাবকরাও। সব মিলিয়ে শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে বসে বেনামে টুইট, কৃষকদের উস্কে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে, দাবি অমিত শাহের পুলিশের