Site icon The News Nest

দেশপ্রেম জাগাতে ৩ বছরের মেয়াদে বাহিনীতে আমআদমি! প্রস্তাব ভারতীয় সেনার

Indian army soldiers take positions during their patrol near the Line of Control in Nowshera sector, about 90 kilometers from Jammu, India, Sunday, Oct. 2, 2016. India said Thursday it carried out "surgical strikes" against militants across the highly militarized frontier that divides the Kashmir region between India and Pakistan, in an exchange that escalated tensions between the nuclear-armed neighbors. (AP Photo/Channi Anand)

নয়াদিল্লি: একদিকে দেশপ্রেম জাগ্রত করা, অন্যদিকে ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের ক্ষতে প্রলেপ দিতে অভিনব প্রস্তাব দিল ভারতীয় সেনা। দেশের যুব সমাজ তিন বছরের জন্য ঐচ্ছিকভাবে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কাজের সুযোগ পাবে।

প্রস্তাবে এখনও পর্যন্ত উল্লেখ, যাঁরা নিরাপত্তা বাহিনীতে স্থায়ী চাকরি করতে আগ্রহী নন, কিন্তু ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কাজ করার রোমাঞ্চ ও সাহসিকতা উপলব্ধি করতে চান, তাঁদের জন্যই এই সুযোগ কার্যকর হবে। এছাড়াও বলা হয়েছে যে, ৩ বছরের কাজের বিষয়টি সম্পূর্ণই ঐচ্ছিক পর্যায়ের। তবে, এই কাজে যোগদানের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর যোগ্যতার মানদণ্ডের সঙ্গে আপোস করা হবে না বলে সেনার তরফে পরিস্কার জানানো হয়েছে।

ভারতীয় সেনার মুখপাত্র কর্নেল আমান আনন্দ এই প্রস্তাবের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাঁর কথায়, ‘সেনার এই প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হলে মূল বিষয়টি সরকার, সশস্ত্র বাহিনী, কর্পোরেট ও বিশেষত জনসাধারণের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে।’

ঐচ্ছিক চাকরি হলেও এই কাজে যুব সমাজের যাঁরা যুক্ত হবেন তাঁদের আয় কর মুক্ত বলে বিবেচিত হবে এবং তাঁরা সরকারি চাকরি সহ স্নাতকোত্তর পাঠক্রমেও আগ্রাধিকার পাবেন। এমনটাই সুপারিশ ভারতীয় সেনার। বাহিনীকর অভ্যন্তরীণ নোটে উল্লেখ, কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারি চাকরির জন্য তিন বছরের ঐচ্ছিক এই চাকরি করা আবশ্যিক নয়। তবে এই চাকরি আবেদনকারীর মান বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।

আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত ঘর ফিরতি শ্রমিকরা, উত্তর ও মধ্য প্রদেশে দুর্ঘটনায় মৃত্যু ১৪ পরিযায়ী শ্রমিকের

প্রস্তাবে উল্লেখ, ১০-১৪ বছর কাজের পর মধ্য তিরিশে সেনা বাহিনীর যেসব কর্মী অবসর নিতে বাধ্য হন তাঁদের হতাশা দূর করতে এই কাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। তিন বছরের ঐচ্ছিক চাকরির ক্ষেত্রে আনুমানিক খরচ ধার্য হয়েছে ৮০-৮৫ লক্ষ টাকা। শর্ট সার্ভিস কমিশনের অফিসারদের ক্ষেত্রে এতে স্থায়ী চাকরির সুযোগ রয়েছে।

এই চাকরির ফলে যুব সম্প্রদায়ের উদ্যম সদর্থক পথে কার্যকর হবে বলে মনে করে সেনা। নোটে উল্লেখ, কঠোর সামরিক প্রশিক্ষণ ও অভ্যাস একজন সুনাগরিক গড়ে তুলতে সহায়ক হবে। এই কাজের দরুন প্রশিক্ষিত, সুশৃঙ্খলিত, আত্মবিশ্বাসী, পরিশ্রমী ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুব সম্প্রদায় তৈরি হবে। যা গোটা দেশের উপকারে লাগবে। প্রাথমিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে কর্পোরেটরা এই ধরনের কর্মী পেতে উৎসাহী।

ভারতীয় সেনা সূত্রের খবর, গোটা প্রস্তাবটিই এক শীর্ষ বৈঠকে আলোচনা করা হবে। দেশের যুব সম্প্রদায়ের সদস্যদের এই সুযোগ দেওয়া ছাড়াও নিয়োগ করা ছাড়াও আধাসামরিক বাহিনী এবং কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনী (সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সেস বা সিএপিএফ)-এর সদস্যদের কাছেও সেনাবাহিনীতে যোগদানের দরজা খুলে দেওয়া হবে। তাঁদের ক্ষেত্রে সাত বছরের জন্য সে কাজের সুযোগ থাকবে।

গোটা বিষয়টিই পরিকল্পনার স্তরে থাকলেও এই প্রস্তাবটি গৃহীত হলে ভারতীয় সেনা তথা দেশের ইতিহাসে তা এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

আরও পড়ুন: দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭৮ হাজার ছাড়াল, ২৬ হাজার আক্রান্ত শুধু মহারাষ্ট্রেই

Exit mobile version