Site icon The News Nest

সেই পুরোনো ছক, মন্দির খুঁজতে জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে প্রত্নতাত্ত্বিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত আদালতের

gyanvapi mosque

কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির মন্দির ও সংলগ্ন জ্ঞানবাপী মসজিদে প্রত্নতাত্ত্বিক পরীক্ষার বিষয়ে রায় দিল বারাণসীর ফাস্ট ট্র্যাক আদালত।মন্দির ও সংলগ্ন জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় রায় দেন সিনিয়র ডিভিশন ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারপতি। পুরাতাত্ত্বিক পরীক্ষার খরচ উত্তরপ্রদেশ সরকারকে বহন করতে হবে।এমনই নির্দেশ আদালতের।

ভোটের মুখে বিজেপির দরকার হয় ‘ধর্মীয়’ ও ‘হিন্দু জাতীয়তাবাদের’ ফোড়ন। অদ্ভুতভাবে সেটা মিলে যায়। লোকসভার সময় পুলওয়ামা আবেগ কাজে লাগতে ষোলো আনা সফল হয়েছিল বিজেপি। বাংলার ভোটে যখন তারা চাপে, ফের মিলে গেল কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ও জ্ঞানবাপী মসজিদ ইস্যু। বিজেপির ফায়ার ব্রান্ডরা এই ইস্যু সামনে রেখে ভোটার টানার চেষ্টা চালাবে বলে আশংকা রাজনৈতিক মহলের।

অনেকে বলছে এটা আরএসএসের পুরাতন ছক। বাবরি মজসিদ ধ্বংসের সময় থেকেই কাশী বিশ্বনাথ নিয়ে কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা আস্ফালন করছেন। তখনই উন্মত্তরা স্লোগান তুলেছিল, ‘অযোধ্যা তো শির্ফ ঝাঁকি হ্যায়,কাশী মথুরা বাকি হ্যায় ।’ সেই ছক চলছে। পতাকা বইছে বিজেপি।

আরও পড়ুন: Kerala Election 2021: ৪০ বছরের ধারা পালটে যাবে কেরলে? নাকি নেতা হিসাবে উত্থান হবে রাহুলের

আদালত পুরাতত্ত্ব বিভাগকে ৫ জনের দল বানাতে বলেছে ।যার পুরো বিষয়টির ওপর রিসার্চ করবে। কেউ কেউ বলছে আদালত নাকি কাশী বিশ্বনাথ মন্দির কর্তৃপক্ষের দিকেই রায়দান করেছে। প্রত্নতাত্ত্বিক পরীক্ষার বিষয়টির আবেদনে বাদী পক্ষ অর্থাৎ মন্দির কর্তৃপক্ষ গত ২ এপ্রিল জানিয়েছিল, ১৯৯১ সাল থেকে এই মামলা চলছে। ২০১৯ সালেও পুরাতাত্ত্বিক পরীক্ষার আবেদন করেছিল মন্দির কর্তৃপক্ষ।

তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হ’ল সিভিল জাজ সিনিয়র ডিভিশন ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট আশুতোষ তিওয়ারির বারাণসী থেকে শাহজাহানপুরে বদলি হয়েছেন। বিচারক আশুতোষ তিওয়ারি ২৮ এপ্রিল তার দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন। তার আগেই এই বিষয়ে রায় দিলেন তিনি।

গতবছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ড্রিম প্রোজেক্ট কাশী বিশ্বনাথ করিডর প্রকল্পের জন্য খনন কার্য চলাকালীনই মসজিদের পাশের মাটি খুঁড়তেই আবিষ্কার হয় ১৬ শতকের প্রাচীন এক মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ! মেলে একটি সুড়ঙ্গেরও হদিশ। সেবার কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পশ্চিমদিকে জ্ঞানভারিদ ময়দানের শৃঙ্গার গৌরি মন্দিরে বুলডোজার দিয়ে খননকার্য চলছিল। সেই সময়ই শ্রমিকেরা মাটির নীচে বহু প্রাচীন একটি সুড়ঙ্গ দেখতে পান । তড়িঘড়ি কাজ থামিয়ে দেওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় মন্দির কর্তৃপক্ষকে। ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনা ছড়ায় ভক্তদের মধ্যে। কবেকার এই মন্দির তা পরীক্ষা করে দেখা হবে বলেই জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন: Assam: ঘোড়া কেনাবেচার ভয়! শরিকি দলের প্রার্থীদের জয়পুরে ‘রিসর্ট বন্দি’ করল কংগ্রেস

Exit mobile version