Site icon The News Nest

প্রতিবাদ করে জুটল ‘পাকিস্তানি’ তকমা! অপমানে পদত্যাগ বিজেপি সাধারণ সম্পাদকের

Malwinder Kang compressed

কৃষি আইন নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন পঞ্জাব বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মালবিন্দর সিং কাং, বদলে জুটলো পাকিস্তানি তকমা। বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তরুণ চূগ তাঁকে পাকিস্তানি বলায় ক্ষুব্ধ মালবিন্দর দল ছাড়লেন। বিজেপিতে খুবই কম শিখ নেতা আছেন, তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন মালবিন্দর। শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একগুয়েমির অভিযোগ তুলে কৃষি আইনের প্রতিবাদে পদত্যাগ করলেন মালবিন্দর।

তিনি বলেছেন, বিল পাশের সময় দলের কোর কমিটির সদস্য হিসাবেও তিনি প্রতিবাদ করেছিলেন, কিন্তু তাঁর কথা গ্রাহ্য করা হয়নি। কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তরুণ চূগকে তাঁর এই অশালীন মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতেই হবে। কৃষকদের পক্ষে কথা বললে বিজেপি নেতারা এই ভাষা প্রয়োগ করবেন, এটা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।

পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সভাপতি বিজেপিতে যোগ দেন একজন সাধারণ কর্মী হিসাবে। তারপর দক্ষ সংগঠক হিসাবে দলে ক্রমশ উপরের সারিতে উঠে আসেন তিনি। সাধারণ সম্পাদকের পদ পান। পাঞ্জাবে বিজেপি শিবিরে খুব কম শিখ নেতাই রয়েছেন। মালবিন্দর তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন।

আরও পড়ুন: কন্যা সন্তান জন্মালেই মিলবে ১১ হাজার টাকা, জেনে নিন কারা দেবে? কী করতে হবে ?

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি চণ্ডীগড়ে যখন আসেন তখনও কৃষকদের সমস্যার কথা তাঁকে বলেন মালবিন্দর, কিন্তু তিনিও সমস্যা সমাধানে কোনও সদিচ্ছা বা সৎ পরামর্শ শোনার ধৈর্য দেখাননি। কৃষকদের কথা শুনতেই চাননি।

মালবিন্দরের মন্তব্য, বিজেপি নেতাদের অভ্যেস হল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যা বলবেন, যা করবেন তাকে বিনা প্রশ্নে মেনে নেওয়া এবং সেটাকেই ভালো বলা। দলের রাজ্য সভাপতি অশ্বিনী শর্মার কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। এরপর মালবিন্দর জানিয়েছেন, কৃষক, ভাগচাষি, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং শ্রমিক সংগঠনগুলি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কৃষি আইনের প্রতিবাদে লড়াই করছেন যা সর্বদা সমর্থনযোগ্য।

দিনকয়েক আগেই কৃষি আইনের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন শিরোমণি অকালি দলের নেত্রী হরসিমরত কৌর বাদল। তার কয়েকদিন পর বিজেপির সবচেয়ে পুরনো শরিক অকালি দল এনডিএ জোট ছাড়ে। অকালি দলও পাঞ্জাব-হরিয়ানায় কৃষকদের স্বার্থে কৃষি আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শামিল। ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে বিজেপি সরকার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের দায়িত্ব দিয়েছে ভার্চুয়াল সভা করে কৃষকদের এই আইনের লাভ সম্পর্কে বোঝাতে। কিন্তু এবার দলেরই শীর্ষ স্থানীয় নেতা পদত্যাগ করায় মুখ পুড়ল বিজেপির।

আরও পড়ুন: চাপের মুখে মাথা নোয়ালে চলবে না, বললেন সুপ্রিম কোর্টের এই বিচারপতি

Exit mobile version