Site icon The News Nest

‘অল ইজ ওয়েল’ মন্ত্রে কাজ হল না, লাদাকে কি যুদ্ধের দামামা? শহীদ ভারতীয় সেনা অফিসার ও ২ জওয়ান

modi jinping 700x400 1

ওয়েব ডেস্ক: লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত ও চিন সেনার সঙ্ঘাত এবার গড়াল রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে। ৪৫ বছর পরে ফের চিনা হামলায় মৃত্যু হল ভারতীয় সেনার। সোমবার রাতে গলওয়ান উপত্যাকায় চিন সেনার হামলায় ভারতীয় সেনার এক কর্নেল এবং দুই জওয়ান নিহত হয়েছেন। গতকালই দু’পক্ষের ব্রিগেডিয়ার পর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছিল। তার পরেই এই হামলা।

ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে মঙ্গলবার দুপুরে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘গলওয়ান উপত্যকায় উত্তেজনা প্রশমন প্রক্রিয়া চলাকালীনই গতকাল রাতে সংঘর্ষ এবং মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ভারতীয় সেনার এক অফিসার এবং দুই জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। দু’পক্ষের উঁচুতলার অফিসারেরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বৈঠক করছেন।’’

আরও পড়ুন : দিনভর উত্তেজনার অবসান, চাপে পড়ে দুই ভারতীয় দূতাবাসকর্মীকে মুক্তি দিল পাকিস্তান

প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছেন গালওয়ান উপত্যকা থেকে দুই পক্ষ সেনা সরানোর সময়ই আচমকা এই ঘটনা ঘটে সোমবার রাতে। প্রাণ হারান আর্মির এক কম্যান্ডিং অফিসার ও দুই জওয়ান। গালওয়ান উপত্যকা হচ্ছে পূর্ব লাদাখের চারটি স্থানের মধ্যে একটি, যেখানে গত ছয় সপ্তাহ ধরে একেবারে সম্মুখ-সমরে ভারত ও চিন সেনা। দফায় দফায় আলোচনা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। তার অন্তর্গত সেনা সরানোর প্রক্রিয়ার সময়ই আচমকা হল এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। 

এ দিকে বেজিঙের অভিযোগ, সীমান্ত পার করে ভারতীয় সেনা চিনের মানুষের উপর হামলা চালিয়েছে। চিনের বিদেশমন্ত্রকের দাবি, সমস্যা
আরও না-বাড়ানোর জন্য দিল্লির কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। ইন্দো-চিন সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, শনিবার দেরাদুনে ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমির ‘পাসিং আউট প্যারেডে’ যোগ দিয়ে এমনটাই জানিয়েছিলেন ভারতীয় সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে।

 দু’দেশের সেনার মধ্যে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পাশাপাশি স্থানীয় স্তরে কম্যান্ডার পর্যায়ের বৈঠকও হয়েছে। সেই বৈঠক প্রসঙ্গেই নারাভানে বলেন, ‘ক্রমাগত যে আলোচনা চলছে, তার মাধ্যমেই ভারত ও চিনের সব বিরোধ মিটে যাবে বলে আশাবাদী আমরা। সবকিছু এখন নিয়ন্ত্রণে।’

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বৈঠক করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর। উপস্থিত ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধান। 

গত সপ্তাহেই সেনাপ্রধান এম এম নারভানে বলেছিলেন পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আছে, ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে। এই ঘটনা যে সেনা ও সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে, তা বলাই যায়। 

আরও পড়ুন : সশরীরে হাজিরা দিলে তবে পেনশন! ব্যাঙ্কের নিদানে শতায়ু বৃদ্ধাকে খাটিয়ায় টানলেন৭০ বছরের মেয়ে

Exit mobile version