চন্ডীগড়: বিদেশে অনুষ্ঠান করে ফিরেছিলেন সম্প্রতি। তার পরেও সুস্থ ছিলেন, কোনও সংক্রমণের উপসর্গ দেখা যায়নি। গত কয়েকদিন ধরে শ্বাসের সমস্যা বাড়ে। হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ধরা পড়ে কোভিড-১৯ পজিটিভ। আজ ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ অমৃতসরে মৃত্যু হয়েছে পদ্মশ্রী জয়ী গায়ক নির্মল সিংয়ের। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬২ বছর।
আরও পড়ুন: ১৫ এপ্রিলের বুকিং নেওয়া শুরু করল রেল ও বিভিন্ন বিমান সংস্থা, তুঙ্গে টিকিটের চাহিদা
পঞ্জাব বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মুখ্যসচিব কেবিএস সিধু বলেছেন, হাঁপানির সমস্যা ছিলই নির্মল সিংয়ের। ভাইরাসের সংক্রমণে সেটা আরও বেড়ে যায়। তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় তাঁর। গত ৩০ মার্চ থেকেই একটু একটু করে উপসর্গ দেখা দিচ্ছিল। শ্বাসের সমস্যা বাড়ায় তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসায় আর তেমনভাবে সাড়া দেননি তিনি। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, সংক্রমণ গভীরে ছড়িয়ে পড়েছিল। হাঁপানির টান থাকায় ফুসফুস আক্রান্ত হয় খুব দ্রুত।
আরও পড়ুন: কারা জম্মু-কাশ্মীরের ভূমিপুত্র? করোনার কালবেলায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিল কেন্দ্র
স্বর্ণমন্দিরের প্রাক্তন ‘হাজুরি রাগী’ বুধবার থেকেই হাসপাতালের ভেন্টিলেশনে ছিলেন। তাঁর শ্বাসকষ্ট থাকায় সংক্রমণ আরও মারাত্মক আকার নেয়। পঞ্জাবের COVID 19- সংক্রমণ প্রতিরোধের দায়িত্ব থাকা টিমের এক আধিকারিক কেবিএস সিধু জানান, আগে থেকেই নির্মল সিংয়ের শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। করোনার প্রকোপে তা আরও বেড়ে যায়। গত মাসে তিনি বিদেশ থেকে ফিরেছিলেন। তখন থেকেই তাঁর শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছিল। সঙ্গে ছিল আচ্ছন্নভাবও। বিপদ আশঙ্কা করে গত ৩০ মার্চ তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।
সূত্রের খবর, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে তিনি দিল্লি, চণ্ডীগড়ে কয়েকটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। গত ১৯ মার্চ চণ্ডীগড়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কীর্তনেও যোগ দিয়েছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, ওই অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে দুই মেয়ে, ছেলে, স্ত্রী ও তাঁদের গাড়িচালকও ছিলেন। তাঁদেরকেও স্বেচ্ছায় ঘরবন্দি থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নির্মল সিং আর কাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তা চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন তিনি। এই নিয়ে পঞ্জাবে পাঁচ জন করোনার গ্রাসে। আরও ৪৬ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত।